ঢাকা ০৯:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo ভারতে আবারও যুক্ত হতে পারে সিন্ধু: রাজনাথ সিং Logo পানছড়িতে বিজিবি কর্তৃক অসহায় দুঃস্থ ও গরীবদের মাঝে সহায়তা প্রদান Logo খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo মানবতাবিরোধী অপরাধ : ট্রাইব্যুনালে ১৩ সেনা কর্মকর্তা Logo ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এনসিপি নেতাদের সাক্ষাৎ Logo প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তাইজুলের ২৫০ Logo যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২৪ Logo কিশোরগঞ্জে মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কুরআন বিতরণ Logo মূকাভিনয়ে কৃতিত্ব রাখায় রিফাত ইসলামকে সম্মাননা প্রদান Logo বাজিতপুরে সৈয়দ এহসানুল হুদার কর্মী-সমর্থকদের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলা

বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় ব্যারিস্টার রফিক

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৮১ বার পড়া হয়েছে

জানাজা শেষে প্রবীণ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মরদেহ দাফন করা হয়েছে বনানী কবরস্থানে।আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জানাজা শেষে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মরদেহ নেওয়া হয় তাঁর দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে তাঁর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে প্রবীণ এই আইনজীবীর মরদেহ নেওয়া হয় বনানী কবরস্থানে। সেখানেই দুপুর তিনটার দিকে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন এই প্রখ্যাত আইনজীবী।

এর আগে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ব্যারিস্টার রফিকের। সেখানে জানাজা পড়ান আদ-দ্বীন হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ সাইদুল ইসলাম। জানাজা শেষে পল্টনে অবস্থিত নিজ বাসায় নেওয়া হয় এ আইনজীবীর মরদেহ।

সূত্র জানায়, পল্টনের বাড়িতে বেশ কিছুক্ষণ রাখা হয়  ব্যারিস্টার রফিকের মরদেহ। এর পর দ্বিতীয় জানাজার জন্য নেওয়া হয় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে।

আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর  আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।

যুক্তরাজ্য থেকে ব্যারিস্টারি পাসের পর ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন ব্যারিস্টার রফিক। সেদিনের পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টই  আজকের বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।

অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

আবার হাসপাতালে ব্যারিস্টার রফিক উল হক

লাইফ সাপোর্টে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি

দেশের প্রথিতযশা আইনজীবী এবং আদ-দ্বীন হাসপাতালের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার রফিক-উল হক অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কিছুটা সুস্থবোধ করলে গত ১৭ অক্টোবর সকালে পল্টনের বাসায় ফিরে যান তিনি। তবে ওই দিনই দুপুরের পর তাঁকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টার পর তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ১৯ অক্টোবর তাঁর করোনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন থেকে অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল এই প্রবীণ আইনজীবীর।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। ২০১৭ সালে বাম পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তাঁর চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে। এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। ৮৫ বছর বয়সী খ্যাতিমান এই মানুষটি বিছানায় শুয়েই সময় পার করছিলেন।

বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় ব্যারিস্টার রফিক

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০

জানাজা শেষে প্রবীণ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মরদেহ দাফন করা হয়েছে বনানী কবরস্থানে।আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জানাজা শেষে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মরদেহ নেওয়া হয় তাঁর দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে তাঁর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে প্রবীণ এই আইনজীবীর মরদেহ নেওয়া হয় বনানী কবরস্থানে। সেখানেই দুপুর তিনটার দিকে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন এই প্রখ্যাত আইনজীবী।

এর আগে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ব্যারিস্টার রফিকের। সেখানে জানাজা পড়ান আদ-দ্বীন হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ সাইদুল ইসলাম। জানাজা শেষে পল্টনে অবস্থিত নিজ বাসায় নেওয়া হয় এ আইনজীবীর মরদেহ।

সূত্র জানায়, পল্টনের বাড়িতে বেশ কিছুক্ষণ রাখা হয়  ব্যারিস্টার রফিকের মরদেহ। এর পর দ্বিতীয় জানাজার জন্য নেওয়া হয় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে।

আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর  আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।

যুক্তরাজ্য থেকে ব্যারিস্টারি পাসের পর ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন ব্যারিস্টার রফিক। সেদিনের পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টই  আজকের বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।

অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

আবার হাসপাতালে ব্যারিস্টার রফিক উল হক

লাইফ সাপোর্টে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি

দেশের প্রথিতযশা আইনজীবী এবং আদ-দ্বীন হাসপাতালের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার রফিক-উল হক অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কিছুটা সুস্থবোধ করলে গত ১৭ অক্টোবর সকালে পল্টনের বাসায় ফিরে যান তিনি। তবে ওই দিনই দুপুরের পর তাঁকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টার পর তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ১৯ অক্টোবর তাঁর করোনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন থেকে অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল এই প্রবীণ আইনজীবীর।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। ২০১৭ সালে বাম পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তাঁর চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে। এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। ৮৫ বছর বয়সী খ্যাতিমান এই মানুষটি বিছানায় শুয়েই সময় পার করছিলেন।