এমনকি শাখতার দোনেস্কের বিপক্ষে ম্যাচটার আগেও রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছিল, জিনেদিন জিদানের অবস্থান পরিষ্কার। তাকে নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ নেই। কাদিজের বিপক্ষে হারটা একটা দুর্ঘটনা। কোচের ওপর তাদের অগাধ আস্থা আছে।
শাখতারের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধ্ব যেতে না যেতেই পাশার দান পুরোপুরি উল্টে যায়। বিরতির আগে ৩-০ তে পিছিয়ে থাকায়, একের পর এক বিরতিহীন ফোনকল আসতে থাকে জিদানের ফোনে। ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ সবসময়ই জিদানের ওপর আস্থা রাখলেও, পরপর দুই ম্যাচে হারের পর তারও বিশ্বাসের পালে ধাক্কা লেগেছে স্বাভাবিকভাবেই।
IPL এ বাচা মরার ম্যাচে আজ চেন্নাইয়ের প্রতিপক্ষ মুম্বাই
রিয়ালের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার ও কোচ জিনেদিন জিদান ক্যারিয়ারের চরমতম দুঃসময় কাটাচ্ছেন এবার। বেশ বাজেভাবে শুরু হয়েছে মৌসুমটা। ক্লাবটিকে কোচ হিসেবে ৩ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো, সবশেষ মৌসুমে বেশ পিছিয়ে থেকেও লিগ জেতানোর সুখস্মৃতিগুলোও চাপা পড়ে যাচ্ছে এবারের বাজে শুরুর কাছে। বিশেষ করে দীর্ঘদিন পর লিগে উঠে আসা কাদিজের কাছে হারের পর, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের ১ম ম্যাচে শাখতার দোনেস্কের কাছে হারের চড়া মাশুল দিতে হতে পারে এই ফ্রেঞ্চ কিংবদন্তিকে। এরইমধ্যে স্প্যানিশ গণমাধ্যমে জোর গুঞ্জন, বরখাস্ত করা হতে পারে জিদানকে।
এরইমধ্যে জিদানের বিকল্পও খোঁজা শুরু হয়ে গেছে। ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারের সাবেক কোচ মৌরিজিও পচেত্তিনি ক্লাব কর্তৃপক্ষের পছন্দের শীর্ষে। জিদানের বিকল্প হিসেবে শোনা যাচ্ছে ম্যাসিমিলানো অ্যালেগ্রির নামও। আবার রিয়াল কিংবদন্তি রাউল গঞ্জালেসও আছেন আলোচনায়।
অবশ্য স্প্যানিশ ওয়েবসাইট ওকদিয়ারিও দাবি করেছে, এখন পর্যন্ত জিদানের চাকরীটা নিরাপদ। তবে সেটি যেকোনো সময়ে ঝুলে যেতে পারে। অন্যান্য গণমাধ্যমগুলো বলছে, এল ক্ল্যাসিকোয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচে জয় পেলেই কেবল চাকরীটা টিকে যাবে ক্লাবের সফলতম এই কোচের।
গেল মৌসুমে নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বার্সেলোনাকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল রিয়াল। এবার বার্সার মাঠে খেলা হলেও, একই রেজাল্ট প্রত্যাশা করছে মাদ্রিদিস্তারা। জিদানের জন্য স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, ক্যাম্প ন্যু’তে কখনো হারের মুখ দেখেননি তিনি। এবার তার ব্যত্যয় ঘটার সুযোগই নেই তার সামনে!
আবার তার দুর্ভাগ্য, কঠিন পরিস্থিতির মুখে যখন দাঁড়িয়ে তিনি, তখনই তাকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে পরাশক্তি বার্সেলোনার! পরপর তিন ম্যাচে হারের পরিণতি যে ভালো হবেনা, সেটি একপ্রকার জানা হয়ে গেছে তার। ক্লাবেও চলছে জোরগুঞ্জন। জানা গেছে, রিয়াল সমর্থকদেরও বড় একটি অংশ আর ডাগআউটে দেখতে চায় না জিদানকে। সবমিলিয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে ফ্রেঞ্চ কিংবদন্তির।
শাখতারের বিপক্ষে ম্যাচের পর অবশ্য বরখাস্তের সম্ভাবনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় জিদানকে। বিমর্ষ মুখে তিনি জানান, তাতে হয়তো সাময়িক স্বস্তি মিলবে তবে পরিস্থিতি বদলাবেনা। আমার মনে হয়না, বরখাস্ত করাই একমাত্র সমাধান। এ ধরণের পরিস্থিতি সামাল দেয়ার সামর্থ্য আমার আছে।
দেখা যাক, চাকরী বাঁচাতে সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারেন কিনা জিজু!