স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কোভিড-১৯ শুরুর সময় দেশে হাতেগোনা দু-একটি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ছিল। বর্তমানে দেশের ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালসহ ৭৮টি সরকারি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। রোববার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘সোসাইটি অব সার্জনস অব বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘রোল অব সার্জনস ইন কোভিড পেন্ডামিক : বাংলাদেশের প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনায় মৃত্যুবরণকারী চিকিৎসক-নার্সসহ দায়িত্বশীলদের প্রতি শোক জানিয়ে বলেন, করোনায় দেশের ১১৫ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক মারা গেছেন। শুধু ২৬ জন সার্জনই মারা গেছেন। আরও নার্স, পুলিশ, সাংবাদিকসহ দায়িত্বরত লোকজন মারা গেছেন। এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। তাদের এই ত্যাগের মাধ্যমে দেশের মানুষের কর্মক্ষেত্র সচল রয়েছে। তাদের কাছে আমরা চিরকৃতজ্ঞ। সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও চিরকৃতজ্ঞ।
ছেলের কষ্ট দেখে মৃত্যু কামনা করছেন হতভাগা মা
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম করেনাকালীন সার্জনদের আগামী দিনগুলোতে নিরলসভাবে চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. আজিজ এমপি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ‘সোসাইটি অব সার্জনস অব বাংলাদেশ’র সভাপতি অধ্যাপক এ এইচ এম তৌহিদুল আলম, সঞ্চালনায় ছিলেন ডা. এ এম কামরুল আক্তার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. নূর হোসেন ভূঁইয়া, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ জেড এম মোসতাক হোসেন, সূচনা বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. জুলফিকুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পেশাজীবী চিকিৎসক-সার্জনদের পুরস্কৃত করা হয়।