বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করোনার টিকা ব্যানকোভিডের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন নেপালের রাষ্ট্রদূত বংশীধর মিশ্র।
তিনি জানান, একজন চিকিৎসক হিসেবে তিনি গ্লোবের তৈরি টিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। নেপাল আপাতত এই টিকা নিতে আগ্রহী। তারা সফল হলে জিটুজি পদ্ধতিতেও এটা কিনতে পারবে নেপাল। বাংলাদেশ সরকার রাজি থাকলে নেপাল এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও আগ্রহী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের জন্য আরো ৩৫ কোটি ডলার অনুদান দেয়ার ঘোষণা
গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ বলেন, মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আগেই দুই মিলিয়ন ডোজ ব্যানকোভি কেনার জন্য সমঝোতা চুক্তি করেছে নেপালের আনমোল গ্রুপ। এ ছাড়া আরো কয়েকটি দেশ থেকে ২০ মিলিয়ন ডোজের অর্ডার এসেছে। দেশের চাহিদা মিটিয়েই বাইরে রফতনি করা হবে।
গ্লোব বায়োটেক একমাত্র বাংলাদেশি কোম্পানি, যাদের করোনার ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনার ভ্যাকসিনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সারাবিশ্বে টিকা তৈরির কাজ পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে আছে এমন ৪২টি টিকার একটি তালিকা এবং প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে থাকা ১৫৬টি টিকার আরেকটি তালিকা করেছে সংস্থাটি। এতে বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের তিনটি টিকার নাম রয়েছে।
গত ৩ জুলাই বায়োটেকের পক্ষ থেকে করোনার টিকা তৈরির চেষ্টার বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হয়। পরে গত ৫ অক্টোবর ইঁদুরের দেহে ওই ভ্যাকসিন কার্যকর বলে দাবি করে গ্লোব।