মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনকে ভোট দিতে মার্কিন ভোটারদের অনুরোধ জানিয়েছেন জলবায়ু সুরক্ষা আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াইয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১৭ বছর বয়সী গ্রেটা টুইটবার্তায় লিখেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে এটা অনেক দূরে। আপনারাও অনেকেই অন্যান্য প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন। কিন্তু আমি বলছি যে, আর আপনারাও জানেন, ‘জঘন্য’। সংগঠিত হোন এবং বাইডেনকে ভোট দিন।’
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটির পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন ভোটারদের তাদের দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরারও আহ্বান জানিয়েছেন গ্রেটা থানবার্গ।
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিকে গুরুত্ব দেন না তিনি। গ্রেটাকে পছন্দ করেন না এবং তাকে নিয়ে নানা নেতিবাচক মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
অবাধ যৌনতা বন্ধে দ. আফ্রিকায় নতুন আইন
অপরদিকে গ্রেটার সঙ্গে দেখা করেছেন ওবামা প্রশাসনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় গ্রেটার এমন লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ব্যাপক প্রশংসাও করেছিলেন তিনি।
২০১৮ সালের আগস্টে নিজ দেশের সংসদের সামনে পরিবেশ রক্ষার দাবিতে আন্দোলনে নামেন গ্রেটা থানবার্গ। এই আন্দোলনের নাম দেয়া হয় ‘স্কুল স্ট্রাইক ফর ক্লাইমেট’। এরপর সারাবিশ্বে তার প্রভাব পড়ে। তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে রাস্তায় নামে স্কুল-কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী। এর ফলে গত এপ্রিলে টাইম ম্যাগাজিনের প্রভাবশালী ১০০ জনের তালিকায় উঠে আসে গ্রেটার নাম।
পরিবেশ রক্ষায় সুইডিশ এ কিশোরী হয়ে উঠেছেন বিশ্বের অন্যতম দাপুটে কণ্ঠস্বর। এ কারণে তাকে ইতোমধ্যে ‘নেক্সট জেনারেশন লিডার’ হিসেবে আখ্যা দিতে শুরু করেছেন অনেকে।
ওই বছরের সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জলবায়ুবিষয়ক অধিবেশনে অংশ নেন গ্রেটা থানবার্গ। সেখানে দেয়া তার জ্বালাময়ী বক্তব্য আলোড়ন সৃষ্টি করে বিশ্বজুড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘হাউ ডেয়ার ইউ’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে তাকে সমর্থন জানান অনেকে। তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিশ্বজুড়ে এ আন্দোলনে শামিল হন লাখ লাখ মানুষ।