বিশেষ প্রতিনিধি: বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়ায় চলছে নির্বিচারে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি শিকার। পেশাদার শিকারী আড়পাড়া গ্রামের জাফর মোড়ল এর ছেল বাদল মোড়ল,এবং সাহেবার গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে রেজাউল শেখ প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক পাখি শিকার করে বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রকাশ্য বিক্রি করলেও প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছেন। এদিকে স্থানীয়রা জানান, শীতের আগমনী বার্তায় বিলের তলায় ও ফসলি জমিতে খাদ্যও সন্ধানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসছে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেনীর অসাধু লোকজন বিভিন্ন্ কৌশলে প্রতিদিন গড়ে ১০০-২০০ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি শিকার করছে। বিশেষ করে জানা গেছে, জেলার আড়পাড়ার বিল থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। বছরের আশ্বিণ, কার্ত্তিক ও অগ্রায়ন মাসে বিলে ডাহুক, কোরা, ঘুঘু, বক, কালকুচ,রাতচরা, পানকৈড়, তৃসুল, বালিহাঁস সহ বিভিন্ন প্রকারের পাখি বেশী দেখা যায়। আর এ সময় বিলে প্রচুর খাদ্য পাওয়ায় বিপুল সংখ্যক পাখি বিলে খাদ্য সংগ্রহে নেমে পড়ে। এ সুযোগে জেলার ভিভিন্ন স্থানে শিকারীরা জাল পেতে , বিষটোপ, বড়শিতে মাছ গেঁথে ও ফাঁদ পেতে নির্বিচারে ওই সকল পাখি শিকার করছে।
বিশেষ করে বর্তমানে জেলার সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নে এ শিকারীরা বেশী পাখি শিকার করছে। এ ছাড়াও যে সব স্থানে পাখি খাদ্য অন্ন্ষেণে নেমে পরে সেখানে সাত সকালে কিম্বা রাতে পেশাদার শিকারীরা পাখি শিকারের উপকরন নিয়ে বিলে নেমে পরে। তারা তাদের কৌশলে পাখি ধরে খাঁচায় ভরছে। আবার অনেক সৌখিন শিকারী এয়ার গান দিয়ে প্রকাশ্যেই দিন-দুপুরে পাখি ধরে ভুড়িভোজে মেতে উঠছেন। স্থানীয়রা বলেন, আমাদের তালম ইউনিয়নের বিভিন্ন ফসলি মাঠে ফাঁদপেতে পাখি শিকার করছে। আবার এসব পাখি গুল্টা বাজারে ফেরী করে প্রকাশ্যেই বেচা কেনা করছে। প্রতিদিন একশ থেকে দেড়শ বকসহ বিভিন্ন পাখি শিকার হচ্ছে। শিকার করা প্রতিজোড়া পাখি প্রকারভেদে ৮০-৫০০ টাকায় বিক্রিও হচ্ছে। পাখি শিকার বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ব্যাপারে বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, যে কোন প্রকার পাখি শিকার করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আমিতো নতুন যোগদান করেছি। পাখি শিকার হচ্ছে বিষটি জানাছিল না । তবে আমার এলাকায় পাখি শিকারীদের পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।