ভারতে শতাব্দী প্রাচীন বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রায় ২৮ বছর পরে আজ বুধবাল লখনৌয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত ওই মামলার রায় ঘোষণা করবেন।
রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্তদের সশরীরে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হৃষীকেশের হাসপাতালে ভর্তি উমা ভারতী। মহামারীর মধ্যে বয়সজনিত কারণে লালকৃষ্ণ আদভানি এবং মুরলিমনোহর জোশী আদালতে যাবেন না বলে জানিয়েছেন আদভানির সচিব দীপক চোপড়া।
আদালত ব্যবস্থা করলে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে তারা আদালতে হাজিরা দেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কল্যাণ সিংহ। তিনিও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই আদালতে হাজিরা দিতে চেয়েছেন।
রায়কে কেন্দ্র করে আদালতের বাইরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।এরই মধ্যে আদালতে পৌঁছেছেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। বুধবার সকাল ১০টায় থেকেই রায় ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বাবরি মসজিদ ভাঙার রায় ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর উন্মত্ত রামভক্তদের হাতে অযোধ্যার শতাব্দী প্রাচীন বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রায় ২৮ বছর পরে আজ বুধবার লখনৌয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত ওই মামলার রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছেন।
বিজেপির অনেক সিনিয়র নেতা ওই মামলায় অভিযুক্ত। ভারতের মুসলিমরা ওই মামলার দিকে তাকিয়ে আছেন এখন। বহুল আলোচিত এ মামলায় মোট ৪৯ জনকে অভিযুক্ত করে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
অভিযুক্তদের মধ্যে ১৭ জন এরই মধ্যে মারা গেছেন। বেঁচে আছে ৩২ জন।
ওই মামলায় উল্লেখযোগ্য অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন বিজেপির সিনিয়র নেতা এলকে আদভানি, মুরালি মনোহর যোশী, উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, বিজেপির ফায়ার ব্র্যান্ড নেত্রী উমা ভারতী, বিনয় কাটিয়ারের মতো নেতাও।
রামমন্দির ট্রাস্টের প্রধান নৃত্যগোপাল দাস আদালতে হাজির হননি। তবে, সাক্ষী মহারাজ, সাধ্বী ঋতাম্বরা আদালতে পৌঁছলেন।
রায় প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সদস্য কামাল ফারুকী বলেন, ‘২৭ বছর আগে অযোধ্যায় যা ঘটেছিল তা রাতের অন্ধকারে নয় বরং দিনের আলোয় হয়েছিল।