সরকারি সহায়তা হাতিয়ে নিতে সুযোগসন্ধানী এক ব্যক্তি একটি বালিশ ও একটি তোশকের দাম নির্ধারণ করলেন ১২ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের উত্তর বাদাঘাট ইউনিয়নের ভোলাখালী গ্রামের প্রয়াত হানিফার ছেলে বাদাঘাট বাজারের কথিত ব্যবসায়ী নূর মিয়ার এমন প্রতারণার বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নেটিজেনরা সমালোচনার ঝড় তুলেছেন।
খোদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সরেজমিন থাকা ব্যবসায়ীরা ওই কথিত ব্যবসায়ীর প্রতারণার কৌশল বুঝতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলার সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাটে বুধবার রাতে একটি মার্কেটে আগুন লেগে চার ব্যবসায়ীর প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পুড়ে যাওয়া চার ব্যবসায়ীর গুদামের পাশে ছোট একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে রাতযাপন করতেন কথিত ব্যবসায়ী নুর মিয়া। তার কক্ষে কোনোরকম মালামাল না থাকলেও ভাঙা খাটের ওপর রাখা একটি বালিশ ও কভার, চাদর ছাড়া ছোট আকৃতির একটি তোশক আগুনে পুড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সরেজমিন অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ দেখতে পরিদর্শনে যাওয়ার পর কথিত ব্যবসায়ী নিজের পুড়ে যাওয়া বালিশ তোশক দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে সরকারি সহায়তা দাবি করেন।
তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত ব্যবসায়ী সাবেক ইউপি সদস্য রইছ উদ্দিন, রয়েল মিয়াসহ অন্যরা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, নুর মিয়ার কোনো মালামালই পুড়েনি, তার শয়ন কক্ষে একটি বালিশ আর তোশক ছাড়া কিছুই ছিল না। তিনি প্রতারণা করছেন সরকারি সহায়তা হাতিয়ে নিতে।
পরে অবস্থা বেগতিক দেখে প্রশাসনের সামনে থেকে কৌশলে দ্রুত সটকে পড়েন বালিশ তোশকের মনগড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণকারী সেই চতুর কথিত ব্যবসায়ী নুর মিয়া।
সরেজমিন থাকা ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন, জাহের মিয়া বলেন, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের বালিশ কাণ্ডকেও হার মানিয়েছেন বালিশ তোশকের ক্ষতিপূরণ ১২ লাখ টাকার দাবিদার নুর মিয়া।
খোদ ইউএনও মো. রায়হান কবির নিজেও এমন কাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।