বাসায় একা পেয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
আব্দুর রহমান ঈশান/নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণায় নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী (১৪)কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী দবিরুল ইসলাম এর ছেলে ফজলে রাব্বী (২৪) এর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ দায়ের করার তৃতীয় দিনেও থানায় মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করেনি বলে জানান বাদীপক্ষ। এদিকে মামলা করলে ভুক্তভোগীকে খুন করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে অভিযুক্ত রাব্বী ও তার পরিবার।
অভিযুক্ত ফজলে রাব্বী নেত্রকোণা সদরের মদনপুর ইউনিয়নের মনাং গ্রামের মোঃ দবিরুল ইসলামের ছেলে। সে পেশায় সিএনজি চালক। তার স্ত্রী ও ৮ মাস বয়সী এক শিশু সন্তান রয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত রাব্বী ধর্ষিতাকে কুপ্রস্তাব দেয়। গত বুধবার (১৭ মে) দুপুরে ভুক্তভোগীর মা বাজারে যান এবং বিকেল চারটার দিকে তিনি বাসায় এসে রাব্বীকে তাদের ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে যেতে দেখেন।ভুক্তভোগীকে বিছানায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন।
পরে তার ডাক চিৎকারে রাব্বীর পরিবার ও আশেপাশের মহিলারা ছুটে আসেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান ও চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহে হস্তান্তর করে। পরে ময়মনসিংহের চিকিৎসকের কোন পরামর্শ ছাড়াই চলে আসে ও ভয়ভীতি দেখান রাব্বি ও তার পরিবার।
ভুক্তভোগী জানান, আমার মা দুপুরে বাজারে যান। খালি ঘর দেখে কিছুক্ষণ পর কৌশলে ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেয় রাব্বী। পরে চিৎকার করার চেষ্টা করলে সে মুখ চেপে ধরে এবং মায়ের মতো খুন করার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে । এসময় কান্নাকাটি করে অজ্ঞান হয়ে পড়ি। অভিযুক্ত রাব্বীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে ভুক্তভোগী।
এদিকে অভিযুক্ত রাব্বী ও তার বাবা-মাকে না পেলেও তার ফুফু শিল্পী আক্তার বলেন, আমার বাসা শম্ভুগঞ্জ, নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল থেকে অজ্ঞান অবস্থায় যখন ধর্ষিতাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে যায় এবং এর অনেকক্ষণ পরে জ্ঞান ফিরে আসে। এরপর তাকে আমার বাসায় নিয়ে আসি এবং রাতে থেকে, সকালে বাড়িতে ফিরে যায়। ডাক্তাররা জানায় কোন চাপ বা টেনশন থেকে অজ্ঞান হয়ে গেছে । আমার ভাতিজা যদি এমন কাজ করে থাকে তাহলে তার উপযুক্ত বিচার আমরাও চাই।