বিএনপির অংশগ্রহণ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়- তাদের কথাতেই এটি প্রতিফলিত হয়। বিএনপি অতীতে নির্বাচন বানচাল করার জন্য মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। এটি দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। সুতরাং বিভিন্ন সময়ে হওয়া নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে অপচেষ্টা, সেটিও মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেন’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাশেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে এ সভায় অংশ নেন তিনি। ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপিপ্রার্থীর ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হবার উপায় নেই’ মন্তব্যের প্রতি সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফী, শহীদ নূর হোসেনের ভাই আওয়ামী মোটরচালক লীগের সভাপতি আলী হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, সাবেক ছাত্রনেতা মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।
পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা আসবেন না : তোফায়েল
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চায় দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধীদল থাকুক। শক্তিশালী বিরোধীদল থাকলে দেশে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি নিজেদের মধ্যে অনৈক্য ঘুচাতে পারছে না এবং শক্তিশালী হতে পারছে না। বিএনপি যদি তাদের ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার না করে, মানুষকে জিম্মি করা, পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে হত্যার পথ পরিহার না করে, তাহলে বিএনপির পক্ষে কখনো আর জনগণের প্রিয় হওয়ার কোনো সুযোগ নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত এক যুগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, এতে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে। জনগণের তো অন্য কোনো দলকে ভোট দেওয়ার কথা নয়। সুতরাং বিএনপি পরাজয় জেনেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য। এই যে সংস্কৃতি তারা লালন করছে, সাত সমুদ্র-তেরো নদীর ওপারের অনেকের সঙ্গে এটি মিলে যাচ্ছে।’ তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিতে বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘শহীদ নূর হোসেন জীবন দিয়ে তার জীবন্ত পোস্টারকে চিরস্মরণীয় করে রেখে গেছেন। যে গণতন্ত্রকে বাংলাদেশে বারবার শিকলবন্দী করা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নূর হোসেনসহ আরো মানুষের রক্তের বিনিময়ে সেই গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনে নূর হোসেনের জীবন্ত পোস্টার দেশের ইতিহাসে জীবন্ত হয়েই থাকবে। গণতন্ত্রের ইতিহাসে তার নাম সবসময় রক্তাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।’