ঢাকা ০৪:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পানছড়িতে পিসিসিপি’র ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo আইনজীবী ও বিএনপি নেতার নাম জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয়দের ক্ষোভ Logo ইরানকে সহায়তা করায় ভারতীয়সহ ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা Logo খাগড়াছড়িতে ১৮ বছর পর ধানের শীষের পথ সভায় ওয়াদুদ ভূইয়া Logo নতুন করে পদায়ন করা হলো আরও ৯ ডিসি Logo বাংলাদেশের ১১ জেলাকে সংযুক্ত করে বানাতে চায় ‘গ্রেটার ত্রিপুরা ল্যান্ড’ Logo সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে ভারত-মিয়ানমার, বাংলাদেশ করছে প্রত্যাহার! Logo আ.লীগের আগ্রাসনের প্রতিবাদে পানছড়িতে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo তাড়াইলে ধলা ইউপি চেয়ারম্যান ঝিনুক গ্রেফতার Logo কিশোরগঞ্জে চবি চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিবকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা

বিএনপির মহাসচিবের সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৫:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • / ১০৫১ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।

আজ রোববার (২২জুন) সকাল ১০টায় গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাত করেন।

সাক্ষাতকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে আমীর খসরু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন ও তার টিমের সাথে আলোচনা হয়েছে। এ সময়ে দুই দেশের মধ্যকার নানা বিষয় বিশেষ করে ট্যারিফ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

তিনি আরও বলেন, তারা ট্যারিফের ব্যাপারে আমাদের মতামত জানতে চেয়েছে। আমরা এই ব্যাপারে সরকারের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে একটা সমাধান করা দরকার বলে মনে করি। কারণ বাংলাদেশের পণ্যের ট্যারিফে যদি উচ্চ মূল্য বাড়িয়ে দেয়া হয় তাহলে আমাদের গার্মেন্টেসের রপ্তানি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিএনপি এই বিষয়ে সরকারের সাথে কাজ ও সহযোগিতা করবে, যাতে ট্যারিফ বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান হয়।

এছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে কিভাবে আরও বিনিয়োগ বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু।

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের বিষয় এবং বিএনপির প্রস্তুতিসহ আমাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে বলেছি।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, এ সাক্ষাতে লন্ডনে তারেক রহমানের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের প্রশংসা করা হয়েছে। সেই মিটিংয়ের গুরুত্ব তারা অনুধাবন করতে পেরেছেন। ওই মিটিংয়ের ফলে দেশের মধ্যে যে একটা বড় ধরনের স্বস্তি এসেছে এবং দেশ নির্বাচনমুখী হয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়টা তো মোটামুটি একটা জায়গায় এসেছে, এটা তো স্বস্তির ব্যাপার… সবাই জানে যে, ডেমোক্রেটিক ট্রান্সফরমেশনের দিকে আমরা যাচ্ছি। সেটার মোটামুটি একটা দিনক্ষণের সিদ্ধান্ত সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছে।

তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, বাংলাদেশের যারা পার্টনার আছে তারাও একটা জায়গায় উপনীত হয়েছে যে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক প্রসেস বা অর্ডারের দিকে যাচ্ছে। কারণ এতে তাদের ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা কি হবে সেই সিদ্ধান্ত নেয়াটা সহজ হযে যায়।

ট্যাগস :

বিএনপির মহাসচিবের সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

আপডেট সময় : ০৪:৪৫:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।

আজ রোববার (২২জুন) সকাল ১০টায় গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাত করেন।

সাক্ষাতকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে আমীর খসরু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন ও তার টিমের সাথে আলোচনা হয়েছে। এ সময়ে দুই দেশের মধ্যকার নানা বিষয় বিশেষ করে ট্যারিফ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

তিনি আরও বলেন, তারা ট্যারিফের ব্যাপারে আমাদের মতামত জানতে চেয়েছে। আমরা এই ব্যাপারে সরকারের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে একটা সমাধান করা দরকার বলে মনে করি। কারণ বাংলাদেশের পণ্যের ট্যারিফে যদি উচ্চ মূল্য বাড়িয়ে দেয়া হয় তাহলে আমাদের গার্মেন্টেসের রপ্তানি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিএনপি এই বিষয়ে সরকারের সাথে কাজ ও সহযোগিতা করবে, যাতে ট্যারিফ বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান হয়।

এছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে কিভাবে আরও বিনিয়োগ বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু।

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের বিষয় এবং বিএনপির প্রস্তুতিসহ আমাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে বলেছি।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, এ সাক্ষাতে লন্ডনে তারেক রহমানের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের প্রশংসা করা হয়েছে। সেই মিটিংয়ের গুরুত্ব তারা অনুধাবন করতে পেরেছেন। ওই মিটিংয়ের ফলে দেশের মধ্যে যে একটা বড় ধরনের স্বস্তি এসেছে এবং দেশ নির্বাচনমুখী হয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়টা তো মোটামুটি একটা জায়গায় এসেছে, এটা তো স্বস্তির ব্যাপার… সবাই জানে যে, ডেমোক্রেটিক ট্রান্সফরমেশনের দিকে আমরা যাচ্ছি। সেটার মোটামুটি একটা দিনক্ষণের সিদ্ধান্ত সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছে।

তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, বাংলাদেশের যারা পার্টনার আছে তারাও একটা জায়গায় উপনীত হয়েছে যে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক প্রসেস বা অর্ডারের দিকে যাচ্ছে। কারণ এতে তাদের ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা কি হবে সেই সিদ্ধান্ত নেয়াটা সহজ হযে যায়।