বিএনপি জামাত পিছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়-কাজী জাফর উল্লা
মামুনুর রশিদ/ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার স্বপরিবারকে ১৫ আগস্টের সেদিনের কাল রাতের আধারে কারা কারা নারকীয় ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র করে চাবি কাঠি নারিয়ে ছিল দেশের জনগণ জানতে চায়? তাদের মুখোশ উম্মেচন করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগোরায় আনা হবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লা বলেছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একদিকে অসহায় ও গরীবের মুখে হাঁসি ফোটানর প্রতীক নৌকা অন্যদিকে থাকবে বিএনপি জামাত পন্থীর স্বৈরাচারেরা। যারা চায় কৌশলে বিভিন্ন দেশের সাথে ষড়যন্ত্র করে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায়ন। শেখ হাসিনাকে পতন ঘটিয়ে নিজেরা ক্ষমতার নামে দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। কিন্ত বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা দেশের মানুষের ভোটের গণতান্ত্রিক অধিকার কখনও ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে তুলে দিবো না। কোন ষড়যন্ত্রর কাছে আওয়ামীলীগ মাথা নত করবে না।
আজ সোমবার (২১আগষ্ট) ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার এসএ একাডেমী মাঠে মানিকদাহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোঁক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোঁক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০০৪ সালে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ধারাকে চিরতরে শেষ করার জন্য বিএনপি জামাতের নেতা খালেদা জিয়া ও তার সন্তান তারেক জিয়া গ্রেনেড হামলা করেছিলেন। তাদের সহযোগিতায় সেদিন মুজাহিদ, সাঈদী গ্রেনেড হামলায় জড়িত ছিল উল্লেখ করে কাজী জাফর উল্লাহ বলেন,বঙ্গবন্ধুর কন্যা জনগণের কথা ভেবেই ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করেন। জনগণ ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীর দাবির প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার পেয়েছিলেন। কোন ট্রাইবুন্যাল করে নয়-আইনের গতি ধারায় আদালতের রায়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছিল। দেশ যখন বঙ্গবন্ধুর হারানো বেদনায় শোকাহত হত তখন সেই মাসে বিএনপি জামাতের ২১ আগস্ট বোমা হামলায় জাতি আজ চরম বিপদের মধ্যে। কারন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি জামাত শিবির মরিয়া হয়ে উঠেছে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। তারা দেশের মধ্যে একটি অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সকল সৈনিকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইনশাল্লাহ শেখ হাসিনা আছে এবং থাকবে। রাখে আল্লাহ মারে কে?
কাজী জাফর উল্লা বলেন, ১৫ আগস্টের কালরাতের ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা চাবি-কাঠি নাড়িয়ে ছিল? চিহ্নিত করা সময়ের দাবী উল্লেখ করে বিচারের আওতায় আনতে হবে জানিয়ে বলেন, কিছু ঘাতক পাকিস্তান, ক্যানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে। বঙ্গবন্ধুর অনুসারী ও নৌকার ভক্তরা বিশ্বাস করেন ওই খুনিদের যে করেই হোক দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কাছে এটাই দেশের জনগণের এখনকার দাবি।
ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জনগণ খেলা করবে। খেলা হবে উচ্ছ্বাসিত হয়ে তিনি বলেন,মুখে নৌকার কথা বলে সেই নৌকাকেই যারা ফুটা করতে ব্যস্ত তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা গরীব মানুষের ভাগ্যে উন্নয়নের মহা নেত্রী শেখ হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় আনতে অবশ্যই আওয়ামীলীগের পাশে থাকতে হবে। মার্কা একটাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নৌকা বিধায় কোন হুমকি ধামকিতে ভয় পাবেন না। সাথে আছি,পাশে আছি। যে কোন পরিস্থিতি সকলকে সাথে নিয়েই মোকাবেলা করতে চাই।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ারা বেগমের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মোহাম্মদ ইশতিয়াক আরিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফাইজুর রহমান, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান রাজা প্রমুখ।