বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল জোটে পাহাড়ি নেতা বিমল গুরুং। একেই বলে মমতা ম্যাজিক। ২০২১-এর ভোটের আগে বড়সড় চাল দিয়ে গোটা রাজ্যে নতুন করে আলোচনায় তৃণমূল কংগ্রেস। পাহাড়ি দার্জিলিং ও সমতলের বেশকিছু এলাকা নিয়ে আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবি তোলা- ‘গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার’ বহিষ্কৃত নেতা বিমল গুরুংকে তৃণমূল, বিজেপি থেকে সরিয়ে নিজের জোটে নিয়ে এল কৌশলে।
বিজেপির প্রশ্ন রাজ্য ভাগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলা নেতাকে কাছে টেনে শুধুই ভোটের লক্ষ্য মমতার? ২০১৭ সাল থেকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, খুন, অস্ত্র মামলাসহ বহু অভিযোগ পাহাড়ের একসময়ের প্রভাবশালী নেতা বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে। আগে তৃণমূলের সঙ্গে থাকলেও মাঝে ভোলবদল করে আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিজেপি তথা এনডিএ জোটের সঙ্গ নেন তিনি ও তার অনুসারীরা।
আয়ারল্যান্ডে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন
তবে অনেকটা নাটকীয়ভাবে বুধবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তিনি কলকাতার সল্টলেকের গোর্খা ভবনের সামনে হাজির হন। সেখানে ঢুকতে না পেরে চলে যান একটি হোটেলে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাহাড়কে আলাদা করার দাবি গত ছয় বছর ধরেও বাস্তবায়ন করেননি নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ।
এদিকে, ‘গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার’ বহিষ্কৃত নেতা বিমল গুরুংকে তৃণমূল, কীভাবে বিজেপি থেকে সরিয়ে নিজের জোটে নিয়ে এল, তা নিয়ে হতবাক বিজেপি নেতারা।
২০২১ সালের মে মাসে, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট। এই ভোট সামনে রেখে প্রধান দুই রাজনৈতিক শিবির তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ই দল ভারি করতে মরিয়া।