চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে সোমবার (৫ অক্টোবর) ছাত্রশিবিরের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়কে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের সামনে থেকে দু’জনকে এবং পরে আরেকজনকে বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধর্ষণের শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ড’ চেয়ে সরকারকে ছাত্রলীগ নেতার লিগ্যাল নোটিশ
গ্রেপ্তার তিন জন হলেন- ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সাথী মো. শহীদুল্লাহ (২১), সহকারী বিজ্ঞান সম্পাদক তানভীর ইসলাম (২৪) ও সাথী আবদুল্লাহ আল মাহফুজ (২২)। তাদের হেফাজত থেকে চারটি হাত বোমা, ১২টি লোহার রড, ৫টি কাঠের লাঠি উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন ওসি নেজাম।
বাকলিয়া থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রে নাশকতার বিষয়ে তারা মাহফুজের বাসায় বসে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। সোমবার বিকেলে প্রায় ৫০ জন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী ধর্ষণবিরোধী মিছিলের নামে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে জড়ো হয়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ধাওয়া দিয়ে দু’জনকে আটক করি। তাদের তথ্য অনুযায়ী মাহফুজের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করি। তাদের মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপে বিদ্যুৎকেন্দ্রে নাশকতার পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের পরিকল্পনা ছিলো, বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার পর তারা সেখান থেকে পালিয়ে নগরীর চেরাগি পাহাড় এলাকায় এসে ধর্ষণবিরোধী বিভিন্ন মুভমেন্টের সঙ্গে মিশে যাবে। এতে তাদের শনাক্ত করা যাবে না।
ওসি নেজাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার তিন জন বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে থেকে পালিয়ে যাওয়া কয়েকজন শিবির নেতার নাম প্রকাশ করেছেন। এরা হলেন- শিবিরের চট্টগ্রাম নগর উত্তর শাখার সাথী আব্দুল্লাহ আল মারুফ (২৫), বাঁশখালী উপজেলার সভাপতি হামিদ হাসান, কক্সবাজার জেলার সেক্রেটারি আমান উল্লাহ, সাতকানিয়া উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জুবায়ের, বায়তুল মাল সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক মো. সাইফুদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সাহিত্য সম্পাদক মো. আরাফাত, কক্সবাজার জেলার মানবসম্পদ সম্পাদক মো. নেজাম, ফেনী জেলার সহকারী বিজ্ঞান সম্পাদক আবুল কালাম।