বিপদ বলে-কয়ে আসে না। বিপদ-আপদ মানুষের নিত্যসঙ্গী। কখন কার ওপর সমস্যা, দুর্বিপাক নেমে আসে তা কেউ জানে না। স্বাভাবিকত বিপদ বা সঙ্কটে পড়লে মানুষ হতবিহ্বল হয়ে যায়। মানুষের চিন্তা-ভাবনা বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। দিশেহারা হয়ে করণীয় ভুলে যাই।
বিপদে পড়লে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। তিনিই একমাত্র উদ্ধারকারী। তিনি চাইলে মুহূর্তেই বিপদ থেকে মুক্তি দিতে পারেন। পেরেশানির কুহেলিকা হটিয়ে দিতে পারেন।
বিপদ থেকে পরিত্রাণের জন্য পবিত্র কোরআন এবং রাসূল (সা.) এর হাদিসে কিছু দোয়াও আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে। আনাস (রা.) বলেন, ‘যখন রাসূলুল্লাহ (সা.)- এর ওপর কোনো কাজ কঠিন হয়ে দেখা দিত, তখন তিনি এ দোয়াটি পড়তেন। ’ (তিরমিজি মিশকাত, হাদিস নম্বর: ২৪৫৪)
উচ্চারণ: ‘ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছ। ’
অর্থ: হে চিরঞ্জীব! হে বিশ্ব চরাচরে ধারক! আমি তোমার রহমতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
দোয়ায়ে ইউনুস (আ.)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মাছের পেটে ইউনুস (আ.) এ দোয়া পড়ে আল্লাহকে ডেকে ছিলেন এবং মুক্তি পেয়েছিলেন। যদি কোনো মুসলিম বিপদে পড়ে এ দোয়া পাঠ করে, আল্লাহ তা কবুল করবেন। ’ (আহমাদ, তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস নম্বর: ২২৯২)।
উচ্চারণ: ‘লাইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নি কুনতুমিনাজ্জালিমিন’ (সুরা আম্বিয়া: ২১/৮৭)
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তুমি মহাপবিত্র। নিশ্চয়ই আমি সীমা লঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
জীবনের কঠিন বিপদ ও ক্রান্তিকালে হজরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম যেভাবে আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করেছিলেন। তা হতে পারে বিপদ ও ক্রান্তিকালে পড়ে থাকা মুমিন মুসলমানের ফরিয়াদ। তাহলো-
أَنْتَ وَلِيِّ فِي الدُّنْيَا وَالآَخِرَةِ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ
উচ্চারণ : ‘আংতা ওয়ালিয়্যি ফিদ-দুনইয়া ওয়াল আখিরাতি তাওয়াফফানি মুসলিমাওঁ ওয়া আলহিক্বনি বিস-সালিহিন।’ (সুরা ইউসুফ : আয়াত ১০১)
অর্থ : ‘(হে আল্লাহ!) তুমিই ইহকাল ও পরকালে আমার অভিভাবক; তুমিই আমাকে মুসলিম হিসেবে মৃত্যু দান কর এবং সৎ লোকদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ দান কর।’