এত বড় ইঁদুর! সম্ভব নাকি! দূর থেকে দেখে প্রথমে দুহাত দিয়ে প্রথমে চোখ মুছে ফেলেছিলেন সাফাইকর্মীরা। তার পরও তাঁরা যা দেখলেন তাতে হা হয়ে যেতে হয়। একটি দৈত্যাকার ইঁদুর বসে রয়েছে নর্দমার জলের উপর। বিরাট আকারের ইঁদুর। ভয়ে হাঁটু কাঁপতে শুরু করেছিল সাফাইকর্মীদের। তবে শেষমেশ সেই ইঁদুরটিকে নর্দমা থেকে টেনে বাইরে আনা হয়। তার পরই পুরো ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়। দেখতে অবিকল আসল ইঁদুরের মতো হলেও সেটি আদতে আসল নয়। নকল ইঁদুর। তবে দেখে সেটা বোঝার বিন্দুমাত্র উপায় নেই। এত অসাধারণ হাতের কাজ।
মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির ঘটনা। সেখানেই একটি নিকাশী নালা পরিষ্কার করতে গিয়ে বিশালাকার ইঁদুরটিকে দেখতে পান সাফাইকর্মীরা। এত বড় ইঁদুর দেকে প্রথমে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় সবার। নিকাশী নালা থেকে শেষ পর্যন্ত ইঁদুরটিকে বের করেন তাঁরা। জানা যায়, কাপড় ও তুলো দিয়ে কেউ বা কারা তৈরি করেছিল সেই ইঁদুর। হ্যালোয়েন-এর জন্য সেই দৈত্যাকার ইঁদুর বানানো হয়েছিল। এর পর সেটিকে ফেলে দেওয়া হয়। কোনওভাবে সেই বিরাট ইঁদুর এসে আটকে যায় নর্দমার ওই অংশে। যার জেরে ওই নর্দমার নিকাশী ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এদিন ২২ টন লিটার বর্জ্য সাফাই করেন সাফাইকর্মীরা।
জলবায়ু পরিবর্তন: পৃথিবী রক্ষায় জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ দফা প্রস্তাব
ইঁদুরটিকে রাস্তার উপর রেখে জল দিয়ে পরিষ্কার করেছেন কর্মীরা। সেই বিরাট ইঁদুর দেখতে ভিড় জমেছে। অনেকেই সেই ইঁদুরের ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই বলেছন, দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটা নকল ইঁদুর। এরই মধ্যে জানা যায়, একজন মহিলা সেই ইঁদুরটি নিজের বলে দাবি করেছেন। ইঁদুরটি তিনি বানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইঁদুরটি তিনি ফেলেননি। হারিয়ে গিয়েছিল। লোপেজ নামের সেই মহিলা দাবি করেছেন, বছরখানেক আগে বানানো সেই ইঁদুর একদিন নর্দমায় পড়ে যায়। তার পর বৃষ্টির জলে সেটি ভেসে যায়। এর পর তিনি একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে নালা পরিষ্কারের আবেদন করলেও কেউ আসেনি। এমনই দাবি করেছেন তিনি।