মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টে পদ ধরে রাখতে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। রোববার (১ নভেম্ববর) একদিনেই ১২টি স্থানে নির্বাচনী সমাবেশ করেছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে এবারের শক্ত ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জো বাইডেনও নিজেকে শ্বেত হোয়াইট হাউসের প্রেসিডেন্ট আসনে বসাতে বদ্ধপরিকর। প্রচারণা চালাতে গিয়ে একে অপরকে কটাক্ষ করে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। এ অবস্থায় বেশ কজন ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারবাদের ইতিহাসবিদ শঙ্কা জানিয়ে সতর্ক করেন, ট্রাম্প-বাইডেনের নির্বাচনী রেষারেষিতে বৈশ্বিক গণতন্ত্র হুমকিতে পড়বে।
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন বিশেষজ্ঞরা। রোববার (১ নভেম্ববর) তাদের প্রকাশিত এক চিঠিতে বলেন, ‘গণতন্ত্র অত্যন্ত ভঙ্গুর এবং সম্ভাব্য সাময়িক, সতর্কতা এবং সুরক্ষা প্রয়োজন’।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধ্যাপক এবং অন্যান্য পণ্ডিতসহ ৮০ জনেরও বেশি স্বাক্ষরকারী ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিবাদী’ হিসেবে অভিহিত করবেন কিনা এ বিষয়ে একমত নন তারা। চিঠিতে উল্লেখ করেন, বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের ভঙ্গুরতা চরমভাবে দেখা যাচ্ছে। আসন্ন মার্কিন নির্বাচনেই যেই জিতুক সমস্যা থেকে যাবে। আগামী মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সেই চিত্র ফুটে উঠতে পারে বলে ধারণা করছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: চার অঙ্গরাজ্যে বিপদের মুখে ট্রাম্প
ইতিহাসবিদরা আরও সতর্ক করেন, ক্ষমতায় বসার জন্য জনগণের কথা ভুলে প্রার্থীরা অনেক কিছুই করতে পারেন। নির্বাচনের কারণে মহামারি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে দেশটিতে। এ জন্য নাগরিকদের শুধু ব্যালট বাক্সের মাধ্যমেই গণতন্ত্র রক্ষা করলে চলবে না, প্রয়োজনে অহিংস আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এ বিষয়ে কানাডার কার্লেটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মান ইতিহাসের অধ্যাপক এবং খোলা চিঠির অন্যতম প্রধান সংগঠক জেনিফার ইভানস বলেন, এই মুহূর্তে আত্মতুষ্ট হওয়া যাবে না। এখন খুবই বিপজ্জনক সময় পার করছে মানুষ। বিশ্বব্যাপী যে গণতন্ত্র সংকটে রয়েছে তা রক্ষা করার পাশাপাশি সমর্থন করা আমাদের সবারই দায়িত্ব মনে করেন এ অধ্যাপক।
গণতন্ত্র প্রবল ঝুঁকিতে রয়েছে এর মধ্যে কয়েকটি বিষয় হলো, বিচ্ছিন্নতা, বৈষম্য, অভ্যন্তরীণ শত্রুদের রাজনীতি এবং রাজনৈতিকভাবে সহিংসতা, যা বর্তমান সমাজে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হানছে বলে জানান তারা।