বিশ্বনাথে গ্রেপ্তার-আতঙ্কে এলাকাছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা।সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গ্রেপ্তার-আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্রেপ্তার এড়াতে তাঁরা এখন এলাকায় থাকছেন না। গত ৩০ অক্টোবর রাতে দলটির ৩৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ আরো ১২০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ মামলা করে।
মামলা দায়েরের পরপরই গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি থাকায় উপজেলা বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মী গা ঢাকা দিয়েছেন।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর অনুষ্ঠিত বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দিন বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সরকারি কাজে বাঁধা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অবরুদ্ধ করে পুলিশের ওপর হামলা ও নির্বাচনি সরঞ্জাম বহনকারি গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগে থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লালমনিরহাটে জুয়েলকে পুড়িয়ে হত্যা ঘটনায় আরও ৫ জন গ্রেফতার
পুলিশ জানায়, গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পর দশঘর এনইউ উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র থেকে সন্ধ্যায় ব্যালট বাক্স ও নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে উপজেলা সদরে ফেরার সময় পুলিশের উপর হামলা করে অভিযুক্তরা। এসময় নির্বাচনী সরঞ্জাম বহনকারী একটি পিকআপ (মিনি ট্রাক) গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করে অভিযুক্তরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত (আহবায়ক) জালাল উদ্দিন বলেন, ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন করা যাবে না। ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত এ মামলার কোনো আসামি গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন
এসআই আকবর ভারতে পালিয়েছে : দাবী পিবিআইর:
সিলেট মহানগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্মম নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফাঁড়িটির ইনচার্জ এসআই আকবর ভারতে পালিয়ে গেছেন, এমন দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ১১ অক্টোবর রায়হানের মৃত্যুর পরদিন তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হন এসআই আকবর। তারপর থেকেই তিনি লাপাত্তা। পিবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারতে পালিয়েছেন।
এসআই আকবরের সাথে ভারতে পালিয়েছে তার ‘আত্মীয়’ আবদুল্লাহ আল নোমান। সীমান্ত পাড়ি দিতে তাদেরকে সহযোগিতা করেছে হেলাল আহমদ নামে এক চোরাকারবারি। নোমানের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ, গোয়েন্দা তথ্য এবং চোরাকারবারি হেলালকে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ আরও নিশ্চিত হতে পেরেছে, ১৪ অক্টোবর ভোরে তারা সিলেট ত্যাগ করেছে।