ঢাকা ১০:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা Logo নলছিটিতে বিএনপির পক্ষে জনসংযোগ ও পথসভা করলেন এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেন Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াতের মাসিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত Logo ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা সেলিম রেজার জনপ্রিয়তা বেড়েছে Logo কিশোরগঞ্জে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ ভেঙে চোরের মৃত্যু Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত অ্যাটর্নি জেনারেল

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৩:২১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৬২ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবে আলমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টার দিকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের মাধ্যমে চিরদিনের জন্য শায়িত হলেন তিনি।

এর আগে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের পেশ ইমাম আবু সালেহ মো. সলিম উল্লাহ। এরপর তার মরদেহে সহকর্মী, বিভ্ন্নি সংগঠন এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার মরদেহে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানানো হয়।

জানাজায় অংশ নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের (আপিল ও হাইকোর্ট) উভয় বিভাগের বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ দেশের বিভিন্ন বার থেকে আগত আইনজীবী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

জানাজার পর মাহবুবে আলমের কফিনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়া প্রধান বিচারপতি, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, পুলিশের (মহাপরিদর্শক) আইজি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, ঢাকা (বার) আইনজীবী সমিতি, আইন, মানবাধিকার ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন সমিতি, গণতান্ত্রিক আইনজীবীর নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সংগঠন ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। সর্বশেষ আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

‘আমাকে ক্ষমা করে দিও’, লাশবাহী গাড়ি ধরে অ্যাটর্নি জেনারেলকে স্ত্রী

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহবুবে আলম। সোমবার সকালে বেইলি রোডের সরকারি বাসায় তার মরদেহ আনা হয়। সেখান থেকে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে তার মরদেহবাহী গাড়ি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের দিকে রওনা হয়। ১০টা ৪১ মিনিটের দিকে গাড়িটি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে পৌঁছায়।

জ্বর ও গলা ব্যাথা নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনি সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই করোনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের এ সিনিয়র আইনজীবী ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন। সর্বশেষ টানা ১১ বছর দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

মাহবুবে আলম সুপ্রিম কোর্ট বারের ১৯৯৩-৯৪ সালে সম্পাদক ও ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, সংবিধানের এয়োদশ ও ষোড়শ সংশোধনীসহ ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি করেন। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শোক প্রকাশ করেছেন।

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত অ্যাটর্নি জেনারেল

আপডেট সময় : ০৩:২১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবে আলমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টার দিকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের মাধ্যমে চিরদিনের জন্য শায়িত হলেন তিনি।

এর আগে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের পেশ ইমাম আবু সালেহ মো. সলিম উল্লাহ। এরপর তার মরদেহে সহকর্মী, বিভ্ন্নি সংগঠন এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার মরদেহে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানানো হয়।

জানাজায় অংশ নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের (আপিল ও হাইকোর্ট) উভয় বিভাগের বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ দেশের বিভিন্ন বার থেকে আগত আইনজীবী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

জানাজার পর মাহবুবে আলমের কফিনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়া প্রধান বিচারপতি, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, পুলিশের (মহাপরিদর্শক) আইজি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, ঢাকা (বার) আইনজীবী সমিতি, আইন, মানবাধিকার ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন সমিতি, গণতান্ত্রিক আইনজীবীর নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সংগঠন ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। সর্বশেষ আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

‘আমাকে ক্ষমা করে দিও’, লাশবাহী গাড়ি ধরে অ্যাটর্নি জেনারেলকে স্ত্রী

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহবুবে আলম। সোমবার সকালে বেইলি রোডের সরকারি বাসায় তার মরদেহ আনা হয়। সেখান থেকে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে তার মরদেহবাহী গাড়ি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের দিকে রওনা হয়। ১০টা ৪১ মিনিটের দিকে গাড়িটি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে পৌঁছায়।

জ্বর ও গলা ব্যাথা নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনি সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই করোনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের এ সিনিয়র আইনজীবী ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন। সর্বশেষ টানা ১১ বছর দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

মাহবুবে আলম সুপ্রিম কোর্ট বারের ১৯৯৩-৯৪ সালে সম্পাদক ও ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, সংবিধানের এয়োদশ ও ষোড়শ সংশোধনীসহ ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি করেন। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শোক প্রকাশ করেছেন।