পূর্ণিমা হোসাইন, ভৈরব প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কালিকা প্রসাদ ইউনিয়নে মৌলভী কেরামত আলী বহুমুখী আলীম মাদ্রাসায় বেতন,পরীক্ষা ফি ও অ্যাসাইনমেন্টের নামে অভিযোগ উঠেছে করোনাকালীন বকেয়া বেতন ও পরীক্ষার ফিসহ ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক অর্থ বাণিজ্য করার ব্যাপারে।
অ্যাসাইনমেন্ট’বেতন, পরীক্ষার ফি নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ করেছেন অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
এ ঘটনায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি: ৫ মিনিটে ৯ লাখ টাকা লুট
তবে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্রথমে স্বীকার না করলেও পরবর্তীতে স্বীকার করে তারা বলেছেন টাকা আদায়ে কাউকে চাপ দেয়া হচ্ছে না।
সরেজমিনে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট জানতে পারলাম বেতন ও পরীক্ষার ফি না দিলে প্রবেশ পত্র, উপরের ক্লাশে ভর্তি ও সম্মাননা সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না।অথচ বাংলাদেশ সরকার অটোপাশ ও সার্টিফিকেট দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।তবে মৌলভী কেরামত আলী বহুমূখী আলীম মাদ্রাসার কোন ক্ষমতা ও শক্তির বলে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে হয়রানি মূলক আচরণ করছে।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নূরুজ্জামান প্রথমে টাকা নেওয়ার বিষয়টা অস্বীকার করেন, পরবর্তীতে তিনি বলেন সাদা কাগজে স্লিপে তার সাক্ষরিত কাগজ দিয়ে টাকা আদায় করেন।তিনি আরো বলেন আমরা শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে পরীক্ষা ফি নিচ্ছি।
প্রতিষ্ঠানের অন্য এক শিক্ষকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে জোরপূর্বক কোন টাকা নিচ্ছি না, যে যা পারে তাই আমরা নিচ্ছি।
বেতন, পরীক্ষার ফি নেওয়ার বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অনুৃমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।
মৌলভী কেরামত আলী বহুমূখী আলীম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের একাধিক অভিভাবকরা বলেন বেতন,পরীক্ষা ফি ও অ্যাসাইনমেন্টের নামে নতুন করে টাকা আদায়ের কৌশল করেছে। এভাবে টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই এবং সরকারিভাবে তা নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।কিন্তু তারা কোন শক্তির বলে এমনটা করছে তা আমাদের বুঝে আসে নাই।
তারা আরো বলেন প্রতিষ্ঠানের যতো দূর্নীতি ও দুই নাম্বারী হয় সবকিছু শিক্ষক নূরুজ্জামানের ইশারায় হয়।তিনি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা কাজী জহিরুল ইসলামের ভাতিজী জামাই।যার কারণে তার উপরে অন্য কোন শিক্ষক কথা বলার সাহস করে না।মৌলভী কেরামত আলী বহুমূখী আলীম মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীর নিকট থেকে যে টাকাগুলো আদায় করছে তা সম্পূর্ণ বেআইনী।
প্রায়শই এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করারও অভিযোগ করেছেন একাধিক অভিভাবক।
উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট মুঠোফোনে জানা যায়, যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাসাইনমেন্টের নামে কিংবা বেতন পরীক্ষার ফি নেওয়া যাবে না,যদি কেউ নেয় তাহলে আমরা ঐ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।