বৈষম্যমূলক বরাদ্দের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন
মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশেষ প্রকল্পে খাদ্য-অর্থ বরাদ্দে অনিয়ম ও বৈষম্যমূলক বন্টনের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ত্রিপুরা ও মারমা সম্প্রদায়।
মানববন্ধন থেকে আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে খাদ্য শস্যর ও অর্থ সুষম বন্টন করা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
আজ রবিবার (২৯ মার্চ) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে এমানববন্ধন অনুষ্টিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সভাপতি কমল বিকাশ ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শুভ্রদেব ত্রিপুরা, ত্রিপুরা ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক খনিরঞ্জন ত্রিপুরা, ত্রিপুরা ঐক্য পরিষদের পানছড়ি উপজেলা সভাপতি কিনারাম ত্রিপুরা, মারমা ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রুমেল মারমা, বিক্ষোভ মারমা সমাজে প্রতিনিধি ক্যজরী মারমা, মারমা যুব সমাজের নেতা ক্যরী মগ প্রমূখ।
বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যান সংসদ ও মারমা জনগোষ্ঠীর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে খাদ্য শস্যর ও অর্থ সুষম বন্টন করা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
বরাদ্দে শুধু ত্রিপুরা ও মারমরা সম্প্রদায় নয়, বৃহৎ বাঙালি জনগোষ্ঠীও বঞ্চিত হয়েছে। সম্প্রতি খাগড়াছড়ির ১ শত ৮৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে ৩ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৫৮ জন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের মাঝে প্রায় ৮ কোটি টাকা মূল্যের ১৯১৩ মে:টন খাদ্যশস্য বরাদ্দে ভুয়া, বৈষম্যমূলক, মনগড়া ও স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রকল্পের অধিকাংশ ভুয়া প্রতিষ্ঠান, একই ব্যক্তি ও পরিবারকে একাধিক বরাদ্দ, জেলা পরিষদ কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক সাহাদত হোসেনের পিতা নুরুচ্ছাফাও বরাদ্দ পেয়েছেন।