ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের আটলা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কছিু বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগও উঠেছে।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, আলামীন (৩৫), সোহাগ (২০), মুহাম্মদ আলী (২৪), রুবেল মিয়া (১৯), সাইদুল মিয়া (২৭), হৃদয় (২০), আনার মিয়া(৪৫), রিমা আক্তার (২৬), সাজু বেগম (২৩), সানজু আরা (১৫), ময়না বেগম (১০), সাদিক মিয়া (৭), সাহানা বেগম (৫০), হামিদা খানম (২০), খুরশিদ মিয়া(২৩), রাশেদ (৩৮), কাসেম মিয়া (৩০), রিপন (১৬), রাহিমা (১১), নাজমুল (১৩), কারিমা আক্তার (১৪), রিফাত (১৪), ফারুক (৩০), ইকবাল (২৬), বাবুলের (২৫), নাদিয়া (৯), নাম জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের আটলা গ্রামের আমির হকের ছেলে সোহাগ মিয়া ওই এলাকার ফজলুর রহমানে মেয়ের জামাই খুরশিদ মিয়াকে ‘ঘরজামাই’ ডাকেন। এ নিয়ে ২ জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাজী মার্কেটে খুরশিদকে মারধর করেন সোহাগ মিয়া। পরে বাজারের সালিশ বৈঠকে সোহাগ ও খুরশিদ মিয়াকে মিলিয়ে দেন তারা। পরে দুই গ্রুপ এলাকায় গিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উভয়পক্ষের প্রায় ২৬ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধারের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।