ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় সুদের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আক্কাস মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে উপজেলার মহিষবেড় গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত আক্কাস ওই গ্রামের মৃত মারাজ মিয়ার ছেলে।
মাস্ক পরা নিশ্চিতে ঢাকায় নামছে ভ্রাম্যমাণ আদালত
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, মহিষবেড় গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিনের কাছে সুদের টাকা পেতেন হোসেন আলী নামের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে সকাল ১০টার দিকে দুইপক্ষের লোকজন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে আক্কাস মিয়াসহ কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় আক্কাস মিয়াকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জলাশয়ে বিষ দিয়ে মাছ নিধন
পূর্ব বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আব্দুল হাই নামে এ ব্যক্তির ইজারাকৃত জলাশয়ে বিষ দিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ নিধন করার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বিষ প্রয়োগে প্রায় তিন লাখ টাকার মাছ মরে গেছে।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতির শিকার আব্দুল হাই।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) জেলার সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জাঙ্গালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আব্দুল হাই বলেন, জলাশয়টি এক বছরের জন্য গ্রামের মসজিদ কমিটির কাছ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ইজারা নেই। বর্ষা মৌসুমে ছয় মাস দেশীয় মাছ বিক্রি করি। বর্ষা চলে গেলেও জলাশয়ে পানি থাকার কারণে রুই, কাতল, সিলভার, তেলাপিয়া চাষ করি। বৃহস্পতিবার রাতে আমার প্রতিপক্ষ আনোয়ার, জনি, আমির হামজা, বিল্লাহসহ অন্যরা বিষ দিয়ে সব মাছ মেরে ফেলে। শুক্রবার ভোরে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি, আমার জলাশয়ের সব মাছ মরে পানিতে ভেসে ওঠছে।
তিনি আরও বলেন, জলাশয়টি ইজারা নেওয়ার পর থেকে তারা প্রায় সময় জোর করে মাছ ধরে নিয়ে যান। গত ০৬ নভেম্বর আবার মাছ ধরতে গেলে আমি তাদের বাধা দিলে কয়েকজন মিলে আমাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ০৮ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ১১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করি। মামলা দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার জলাশয়ের বিষ দিয়ে সব মাছ মেরে ফেলে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
জাঙ্গালপাড়া গ্রামের মসজিদ কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গ্রামের আটটি পরিবার ৩৩৬ শতাংশ জলাশয়টিকে মসজিদের নামে দান করে গেছেন। এর আয় দিয়ে মসজিদ পরিচালনা করা হয়। যারা বিষ দিয়ে জলাশয়ের মাছগুলো মেরে ফেলেছে, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. শাহজাহান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।