ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা মামলার রায়ের জন্য আগামী ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ রবিবার (৪ অক্টোবর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ রবিউল আলমের আদালত আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে কারাগার থেকে আসামি জিকরুল্লাহ ওরফে হাসান, আরিফুল ইসলাম ওরফে মুশফিক ওরফে এরফান, সাইফুল ইসলাম ওরফে মানসুরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ মামলায় দুই আসামি জুনেদ ওরফে জুনায়েদ আহমেদ ওরফে তাহের ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আব্দুল্লাহ পলাতক।
গত ২১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাউদ্দিন হাওলাদার পাঁচ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। আজ আসামি পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। সেইসঙ্গে এ মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি প্রার্থনা করেন। পরে আদালত রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ রবিউল আলমের আদালত ২১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন। এর আগে ২৫ আগস্ট মামলার শেষ সাক্ষী হিসেবে রেকর্ডিং অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করে ১০ সেপ্টেম্বর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য করেন। এই মামলায় মোট ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।
ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে হাইকোর্টে মিন্নির বাবা
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ি দীপিকার ঢাল এলাকায় বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে যাওয়ার পথে খুন হন ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু। এর পরই জনতার সহায়তায় পুলিশ জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম নামের দুই মাদ্রাসাছাত্রকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
ফেসবুক ও ব্লগসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম নিয়ে লেখালেখির কারণে ওয়াশিকুরকে হত্যা করা হয়েছে বলে জিকরুল্লাহ ও আরিফুল স্বীকার করেছেন।
ওই হত্যা মামলায় আটক জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ইসলামসহ চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে ওই রাতেই তেজগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মনির হোসেন। পরে আটকদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২০ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।