ঢাকা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভগবান বেআইনি মন্দিরে থাকতে চাইবেন না

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৬:৩১:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৫৫ বার পড়া হয়েছে

ভারতের কর্নাটকের হাইকোর্ট একটি মামলার শুনানিতে বলেছেন, ভগবান বেআইনি মন্দিরে থাকতে চাইবেন না। কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু থেকে ২৫০ কিমি দূরে চিক্কামাগালুরুতে বেআইনিভাবে তৈরি শিব সুব্রণ্যস্বামী মন্দিরের বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য সরকারকে বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) এক নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মন্দিরটি বেআইনিভাবে সরকারি জমিতে তৈরি করা হয়েছে এমন অভিযোগে মন্দিরের এক ভক্ত ভেলু মুরুগান, জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন হাইকোর্টে। তারই শুনানিতে কর্নাটকের হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি অভয় শ্রীনিবাস ওকার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এমন কথা বলেন।

১০ দিনে ভারতে গেলো ৮০৫ মেট্রিক টন ইলিশ

রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকারি জমিতে মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে এবং এই কারণে বন দফতরের অপরাধ আইনে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এই রিপোর্ট দেখার পর সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে একটি কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের বেঞ্চ আরও বলেছে, ২০০৯ সালে বেআইনি মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে মন্দিরটি সুরক্ষিত রাখা হবে কি না, তা ঠিক হবে সরকারকে। যদি সরকার সেটাই করবে বলে ঠিক করে, তবে মন্দিরটি তাদের মুজরাই দফতরে ( মন্দির বিষয়ক কর্নাটকের সরকারি অধিদপ্তর) ট্রান্সফার করতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

পিটিশনের পক্ষে শুনানি করা আইনজীবী কল্যাণ এস বাসবরাজ আদালতে বলেন, মন্দির নির্মাণের জন্য সরকারের ২০ একর জঙ্গলের জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে। মন্দিরটি সরাতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে দাবি জানান তিনি। ভেলু মুরুগানের অভিযোগ, প্রতি বছর বেআইনিভাবে তৈরি মন্দির প্রাঙ্গণে ১৫০-২০০টি বিয়ে হচ্ছে, যার থেকে রাজস্ব আসছে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। কিন্তু মন্দির পরিচালন কমিটি সেই অর্থ সরকারি কোষাগারে না দিয়ে নিজেদের পকেটে ভরছেন।

ভগবান বেআইনি মন্দিরে থাকতে চাইবেন না

আপডেট সময় : ০৬:৩১:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

ভারতের কর্নাটকের হাইকোর্ট একটি মামলার শুনানিতে বলেছেন, ভগবান বেআইনি মন্দিরে থাকতে চাইবেন না। কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু থেকে ২৫০ কিমি দূরে চিক্কামাগালুরুতে বেআইনিভাবে তৈরি শিব সুব্রণ্যস্বামী মন্দিরের বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য সরকারকে বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) এক নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মন্দিরটি বেআইনিভাবে সরকারি জমিতে তৈরি করা হয়েছে এমন অভিযোগে মন্দিরের এক ভক্ত ভেলু মুরুগান, জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন হাইকোর্টে। তারই শুনানিতে কর্নাটকের হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি অভয় শ্রীনিবাস ওকার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এমন কথা বলেন।

১০ দিনে ভারতে গেলো ৮০৫ মেট্রিক টন ইলিশ

রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকারি জমিতে মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে এবং এই কারণে বন দফতরের অপরাধ আইনে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এই রিপোর্ট দেখার পর সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে একটি কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের বেঞ্চ আরও বলেছে, ২০০৯ সালে বেআইনি মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে মন্দিরটি সুরক্ষিত রাখা হবে কি না, তা ঠিক হবে সরকারকে। যদি সরকার সেটাই করবে বলে ঠিক করে, তবে মন্দিরটি তাদের মুজরাই দফতরে ( মন্দির বিষয়ক কর্নাটকের সরকারি অধিদপ্তর) ট্রান্সফার করতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

পিটিশনের পক্ষে শুনানি করা আইনজীবী কল্যাণ এস বাসবরাজ আদালতে বলেন, মন্দির নির্মাণের জন্য সরকারের ২০ একর জঙ্গলের জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে। মন্দিরটি সরাতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে দাবি জানান তিনি। ভেলু মুরুগানের অভিযোগ, প্রতি বছর বেআইনিভাবে তৈরি মন্দির প্রাঙ্গণে ১৫০-২০০টি বিয়ে হচ্ছে, যার থেকে রাজস্ব আসছে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। কিন্তু মন্দির পরিচালন কমিটি সেই অর্থ সরকারি কোষাগারে না দিয়ে নিজেদের পকেটে ভরছেন।