DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাসোমবার ১৭ই মার্চ ২০২৫
ঢাকাসোমবার ১৭ই মার্চ ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভারতে মুসলিম নির্যাতন, ১৫১ আলেমের উদ্বেগ

Astha Desk
মার্চ ১৬, ২০২৫ ১১:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভারতে মুসলিম নির্যাতন, ১৫১ আলেমের উদ্বেগ

মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ

পবিত্র রমজান মাসেও ভারতে উগ্র হিন্দুদের দ্বারা মুসলমানদের ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট আলেমরা। অবিলম্বে মুসলিম নির্যাতন বন্ধ ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত আটকেরের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ১৫১ জন আলেম।

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, রমজান হলো পবিত্র মাস। এ মাসে অধিক ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকেন বিশ্বের মুসলমানেরা। এই মাসের সম্মানার্থে হোয়াইট হাউসসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকেন। মুসলমানদের সঙ্গে ইফতার করেন। অথচ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মনিরপেক্ষ দেশ দাবিকারী ভারতে মুসলমানরা পবিত্র রমজানেও নিরাপদ থাকতে পারছেন না, নির্বিঘ্নে ইবাদত পালন করতে পারছেন না, তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করা হচ্ছে।

আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সম্প্রতি লাউড স্পিকারে আজান দেওয়ায় ইমামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হোলির জন্য মুসলিমদের নামাজ আদায় না করতে দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে। (সূত্র-আল-জাজিরা, টিআরটি ও ডয়েচে ভেলে)

সংবাদ মাধ্যম সূত্র মতে, ভারতের একটি মসজিদের সামনে হঠাৎ করেই কট্টর হিন্দুত্ববাদী একটি দল নামাজ পড়ে বের হওয়া মুসল্লিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। তাদের মারধর করে আর উচ্চ স্বরে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে থাকে, তাদের হাতে ছিল মদের বোতল।

এছাড়াও রাস্তা-ঘাটে রোজাদার মুসলিমদের পথ আটকে হোলির রঙ মাখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে পিটিয়ে জখম করা হচ্ছে। নামাজরত মুসল্লিদের ওপর শারীরিক আক্রমণ করা হচ্ছে। বিদ্যালয় ও যানবাহন থেকে নিয়ে বাড়ি-ঘরেও নারী ও শিশুরাও নিরাপদে নেই। তাদের ওপরও হামলা হচ্ছে।

বিবৃতিতে আলেমরা আরও উল্লেখ করেন, ইসলামবিদ্বেষী মোদি সরকারের সময় ভারতে মুসলিম নির্যাতনের ঘটনা যেন এখন নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদী স্লোগান ‘জয় শ্রীরাম’ বলে প্রায় প্রতিদিনই ভারতের কোথাও না কোথাও মুসলিম নির্যাতনের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

মোদির ভারতে যে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয় তার প্রমাণ মিলল আরও একবার। তাছাড়া মুসলমানদের ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ দখল করে রামমন্দির স্থাপন তার মধ্যে অন্যতম ঘটনা। বিশ্বজুড়ে নিন্দা কুড়ানো সেই ঘটনায় নিহত হয়েছিল বেশ কিছু ভারতীয় মুসলমান। ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায়, গো-মাতার সম্মানের অজুহাতে ভারতে দিন-দুপুরে হত্যার ঘটনাও ঘটছে। অথচ নরেন্দ্র মোদির দেশের হলুদ মিডিয়াগুলো এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হয়ে বাংলাদেশ নিয়ে প্রোপাগান্ডায় ব্যস্ত। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা এতটাই নিরাপদ যে, মুসলমানরা পাহারা দেয় তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়। অথচ মোদির দেশে বাধা দেওয়া হয় নামাজ পড়তেও।

বিবৃতিতে ন্যাক্কারজনক এসব হামলা ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং নির্যাতিত মুসলিমদের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব উম্মাহর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিদাতারা হলেন: আল্লামা সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন জাফরী, প্রফেসর ড. এবিএম হিজবুল্লাহ, মুফতী মুহা. কাজী ইব্রাহীম, মাওলানা লিয়াকত আলী, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরি, ড. খলীলুর রহমান আল মাদানী, মাওলানা শরীফ মুহাম্মাদ, ড. গিয়াসউদ্দীন তালুকদার, মাওলানা খুবাইব বিন তায়্যিব (জিরি), মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, ড. মানজুরে এলাহি, ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, ড. মুহাম্মদ গোলাম রববানী, ড. মীর মনজুর মাহমুদ, প্রফেসর ড. সায়্যেদ মাকসুদুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. মুখতার আহমেদ।

হাফেজ হাবিবুল্লাহ মুহাম্মাদ ইকবাল, মাওলানা মোশতাক ফয়েজী, শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আযহারী, শায়খ হারুন আজিজী নদভী, মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিক কুয়াকাটা, মুফতি সাইফুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমিন সাদী (সাইমুম সাদী) ড. ইউসুফ সুলতান, শায়েখ মুরতাজা হাসান ফয়জী মাসুম, ড. মো. রফিকুল ইসলাম আল মাদানী, ড. রশিদ আহমদ।

আরো পড়ুন :  জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া মাদরাসা শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ

মাওলানা ফখরুদ্দীন আহমাদ, মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আবদুল্লাহ আল-আমিন, মুফতি আমির হামজা, শায়খ কামরুল ইসলাম সাইদ আল আনসারী, শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক, মুফতি মনোয়ার হোসেন, শায়খ আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মুফতি আরিফ বিন হাবিব, সৈয়দ হাসান আল আযহারী, মাওলানা রাফী বিন মুনির, শায়খ জামাল উদ্দীন, মাওলানা আবদুল মজিদ, মাওলানা মহিউদ্দীন ফারুকী, মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়েজী।

শায়খ সাদিকুর রহমান আল-আযহারী, মুফতী মুহাম্মদ আলী, মুফতী আব্দুল্লাহ মাসুম, মাওলানা মীযান হারুন, মুফতি রেজাউল করিম আবরার, ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেমী, মাওলানা আবদুল্লাহ আল ফারুক কাসেমী, মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব, সৈয়দ শামছুল হুদা, মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, মাওলানা মিরাজ রহমান, ড. আবুল কালাম আজাদ মাদানী, ড. বি এম মফিজুর রহমান আল আজহারী, মুফতী শামছুদ্দোহা আশরাফী, মুফতি নোমান কাসেমী, শায়খ মোল্লা নাজিমুদ্দীন, মুফতি জিয়াউর রহমান, উস্তায আবু ত্বহা মুহাম্মাদ আদনান, মুফতি হেদায়েত উল্লাহ খান আজাদি, মাওলানা গাজি ইয়াকুব, মুফতী সাঈদ আহমাদ, মুফতি নুরুজ্জামান নাহিদ, মাওলানা আফীফ ফুরকান, মুহাদ্দিস মাওলানা আ.ন.ম. আকরাম হোসাইন।

মাওলানা সিফাত হাসান, মহিউদ্দিন কাসেমী, মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসউদ, মুফতি আরিফ জাব্বার কাসেমী, মুফতি আবদুল গাফফার, মাওলানা নিজাম বিন মুহিব, মুহাম্মাদ নূরুল্লাহ, মাওলানা যুবায়ের আহমাদ, মাওলানা মুস্তাফিজ রহমানী,মুফতী আমজাদ হোসাইন আশরাফী, মাওলানা আমিন ইকবাল, মাওলানা ইমরান রাইহান, মাওলানা জহির উদ্দিন বাবর, মাওলানা নাজমুল হাসান, শায়খ ইউসুফ ওবায়দী, উস্তাদ আহমদ রফিক, মাওলানা হাছিব আর রহমান, শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা এম হাসিবুর রহমান, মাওলানা আসআদ বিন সিরাজ, মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা ইয়াহইয়া তাকী, মাওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার, হাফেজ মাওলানা মুফতী আবু মুহাম্মদ রহমানী, মাওলানা আব্দুল কাহহার।

শায়খ ড. আব্দুস সালাম আজাদী, মাওলানা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, মাওলানা বদরুজ্জামান, মাওলানা মুফতী আফিফ ফুরকান, মুফতী ড. খলীলুর রহমান, মাওলানা এমদাদুল হক, মাওলানা জুবায়ের আহমেদ, মুফতি মুহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ, মাওলানা মাকসুদ আল-আজমী, মাওলানা নাজমুল ইসলাম, মুফতি আম্মার বিন নূর, মাওলানা মির্জা আরাফাত, শাইখ সালাহউদ্দীন মাক্কী, মাওলানা উমায়ের বিন রশিদ, মাওলানা আবদুস সালাম যুক্তিবাদী, মাওলানা এমদাদ হোসেন, মাওলানা নুরুল কারীম আকরাম, মাওলানা গোলাম রব্বানী।

মাওলানা মুস্তাফা, শায়খ জারির ইবনে আব্দুল্লাহ জাফরী, মুফতী নুরুন্নবী, মুফতী মাহমুদ হাসান, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মুফতী তানভীর আহমদ, মুফতী আল আমিন, মুফতী সুলাইমান খান, মুফতী সালমান শেখ, হাফেজ মাওলানা হাসানুজ্জামান, মাওলানা নজির হোসাইন, মাওলানা হোসাইন আহমদ, মুফতী আব্দুল্লাহ, মুফতী রফিকুল ইসলাম, মুফতী আবুল হাসান, মাওলানা ইমদাদুল হক, মাওলানা রবিউল ইসলাম, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, মুফতী ফাহিম আহমাদ, মাওলানা হাসান বনিক, মুফতী যোবায়ের হাসান, মাওলানা আল আমিন রংপুরী, মাওলানা ফরিদ উদ্দীন, মুফতী মুহাম্মদ আলী যশোরী, মুফতী শরীফুল ইসলাম।

মাওলানা রাশেদুল ইসলাম, হাফেজ জাহিদ হাসান, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা আনিসুর রহমান, মাওলানা সাব্বির আহমদ, মাওলানা আবুল কাসেম আদিল, মুফতী দেলোয়ার হোসাইন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা রুহুল আমিন, মাওলানা আব্দুর রহমান কোব্বাদি, মুফতি মোহাম্মাদউল্লাহ, মুফতি ইমামুদ্দিন, মুফতি আবদুল আজিজ কাসেমি, মুফতি জুবায়ের আবদুল্লাহ কাসেমি, মাওলানা শাহজাহান আল হাবিবি প্রমূখ।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৫১
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:১১
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫৬
  • ১২:১১
  • ৪:২৬
  • ৬:১১
  • ৭:২৪
  • ৬:০৭