DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাবৃহস্পতিবার ৩রা এপ্রিল ২০২৫
ঢাকাবৃহস্পতিবার ৩রা এপ্রিল ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভুয়া প্রতিষ্ঠান ও স্বজনপ্রীতি আপদকালীন প্রকল্পের টাকা নয়-ছয়

Astha Desk
মার্চ ২৮, ২০২৫ ২:৪৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ভুয়া প্রতিষ্ঠান ও স্বজনপ্রীতি আপদকালীন প্রকল্পের টাকা নয়-ছয়

স্টাফ রিপোর্টারঃ

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ছিল লাগামহীন ঘোড়া। ভুয়া প্রকল্পে সরকারি শতশত কোটি টাকা লুপাট হয়েছে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে।

২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এ অবস্থা পরিবর্তন হওয়ার আশা করা হলেও সেই আশায় ছেদ পড়েছে। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে বর্তমান মেয়াদে দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টরা।

গত ২৫ মার্চ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়-১ শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ নাহিদ ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানাযায়, খাগড়াছড়ির ১শ ৮৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে ৩ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অনুকূলে। যা সহিসংতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সার্বিক উন্নয়ন, চিকিৎসা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য।

যার মধ্যে ১শ ৮৫টি প্রকল্পের অধিকাংশ ভুয়া প্রতিষ্ঠান, একই ব্যক্তি ও পরিবারকে একাধিক বরাদ্দ, স্বজনপ্রীতি, জেলা পরিষদ কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দের চিত্র উঠে এসেছে।

তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ত্রিনা চাকমা নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের নামে ১৭৪ নাম্বার ক্রমিকে একাই ১২টি প্রকল্পে আবেদন করে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ ভাগিয়েছেন।

এ ছাড়া জেলা শহরের সূর্য শিখা ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আলাদা আলাদা বরাদ্দে ৫ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। বস্তায় চাষাবাদ প্রকল্পে দেয়া হয়েছে ১০ লাখ টাকা, অন্যের পুকুর দেখিয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠান মৎস্য খাতে বরাদ্দ পেয়েছে, এছাড়া একই পরিবারকে চিকিৎসা ও শিক্ষার জন্য আলাদা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের কর্মকর্তার মাধ্যমে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে তালিকার ২৭ নম্বরে থাকা খেজুরবাগান বিত্তহীন সমবায় সমিতি লি. এর সভাপতি নুরুচ্ছাফার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। বরাদ্দ পাওয়াদের অনেকে কখন কি নামে প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন তার উত্তর দিতে পারেনি।

আরো পড়ুন :  আ.লীগ নেতার অসুস্থতার পোষ্ট, কমেন্টে ঘৃণার বন্যা

তালিকায় ৫৪ নম্বরে আছে খাগড়াছড়ি সদরের কলেজ গেট এলাকার সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধন বিহীন পাহাড়ী বাঙালী সম্প্রীতি সমবায় সমিতির অনুকূলে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে মৎস্য বাঁধ সংস্কারসহ মৎস্য চাষ। সভাপতি হিসেবে নাম আছে নিশি মনি চাকমা নামে একজন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে থেকে আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় অর্থ বরাদ্দ শিরোনামে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর গত ২৬ শে মার্চ থেকে অনিয়মের এ তথ্য সামনে আসে।

খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম রাজু তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেন, হরিলুট চলতে থাকুক। সবাই মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকি আমরা। আম্লীগ ও যাত্রা পার্টিরে নিয়ে মিলে মিশে নিজ সম্প্রদায়ের মাঝে হরিবণ্টন করে চলেছেন পার্বত্য উপদেষ্টা মশাই এবং জরিনা আপা। সর্বকালের কতিপয় দালালও বরাবরের মতো নিজেদের নাম লিখিয়ে নিয়েছেন হরিবণ্টনের তালিকায়। তবে নিজেকে দুয়েকদিন ধরে খুব বলদ শ্রেণীর প্রাণী মনে হচ্ছে। বরাদ্দ পাওয়া তো দূরের কথা বরাদ্দ পেতে হলে কার কার কাছে তেল মালিশ করতে হবে সেটাই আমার জানা হলো না আজও।

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের খাগড়াছড়ি শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদ উল্লাহ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যায় পাহাড়ী বাঙালী উভয় সম্প্রদায়কে সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয় সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সার্বিক উন্নয়ন, চিকিৎসা ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে যে বরাদ্দ দিয়েছে তাতে আমরা দেখলাম পাহাড়ীদের মধ্যে চাকমা সম্প্রদায় বেশী বরাদ্দ পেয়েছে। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলে বাঙালী মাত্র ৩৮টি প্রকল্প পেয়েছে। পার্বত্য উপদেষ্টার অসৌজন্যমূলক আচরণ, অনিয়ম নিয়ে পাহাড়ে বহুবার আন্দোলন হয়েছে। এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমরা আবারও আন্দোলনে নামব।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৩২
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:১৮
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৩৭
  • ১২:০৬
  • ৪:২৯
  • ৬:১৮
  • ৭:৩৩
  • ৫:৫০