কলকাতায় বিশাল মিছিলের শেষে জোটের ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ২০২১ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধান সভা নির্বাচন। এখন সেই নির্বাচনে রাজ্য শাসক তৃণমূল কংগ্রেস আর লোক সভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে দারুণ ফলাফল করা বিজেপিকে ঠেকাতে জোট গঠনের ঘোষণা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। বামেদের সঙ্গে জোট করেই বিধানসভা ভোটে লড়বে কংগ্রেস।
পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদিকে ঠেকাতে বামেদের সঙ্গে তৃতীয় বিকল্প গঠন করেই ভোটে লড়বে কংগ্রেস। এখনো অবশ্য রাজ্যের শীর্ষ বাম নেতাদের সঙ্গে অধীরের বৈঠক হয়নি। এই সপ্তাহেই তা হওয়ার কথা। তার আগেই জোটের ঘোষণা করলেন কংগ্রেস সভাপতি। তবে জোট নিয়ে কংগ্রেস ও বাম নেতাদের মধ্যে কোনো মতবিরোধ নেই। আলোচনার বিষয় হলো, কে কত আসনে লড়বে, তা নিয়ে।
রাজ্যের বিরোধী নেতা আব্দুল মান্নানের দাবি, জোট নিয়ে রাজ্যের সব কংগ্রেস নেতা ঐক্যবদ্ধ। জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে মান্নান বলেছেন, ‘আমরা সবাই জোট চাই। এখন আমাদের সভাপতি বামেদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সেখানেই জোটের খুঁটিনাটি বিষয়ে কথা হবে।’
এ বছরের শেষের দিকে আসছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন
বামেরাও জোট চাইছেন। সিপিএম ইতিমধ্যেই সিপিআই, ফরোয়ার্ড ব্লক, আরএসপি নেতাদের সঙ্গে জোট নিয়ে কথা বলছে। জোটে যেতে শরিকদের আপত্তি নেই। সিপিআই-এর জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য পল্লব সেনগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ”কংগ্রেসের সঙ্গে জোট আমরা চাইছি। তবে আমাদের মনে হয়েছে, শুধু আসন সমঝোতা নয়, সামগ্রিকভাবে জোট হওয়া উচিত। কর্মসূচি ঠিক করে, দুই দলের নেতা ও কর্মীদের একযোগে প্রচার করতে হবে। তা হলে লোকের মধ্যে জোটের বার্তা ঠিকভাবে যাবে।
দ্বিতীয় আরেকটি বিষয়ও আছে। তা হলো আসন ভাগাভাগি। কারণ, বাম নেতারা মনে করছেন কংগ্রেস এ বার বেশি আসন দাবি করতে পারে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ, মালদহ সহ উত্তর বঙ্গে। তবে সেটা আলোচনা হওয়ার পর বোঝা যাবে।
অধীরের দাবি, তৃণমূল ও বিজেপি ছাড়াও বাম ও কংগ্রেসের জোট হবে তৃতীয় বিকল্প। তিনি কেন্দ্রে মোদী সরকার ও রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতির প্রবল সমালোচনা করেছেন।
বাম-কংগ্রেস জোট মানে লোকের সামনে একটা বিকল্প থাকবে। কংগ্রেস ও বাম নেতারা মনে করছেন, জোট না হলে দুই দলের ফলই খুব খারাপ হবে এবং সুবিধা হবে বিজেপি-র। মান্নান যেমন বলছেন, ‘জোট না হলে লড়াইটা তৃণমূল বনাম বিজেপি হয়ে যাবে। সেটা একেবারেই কাম্য নয়।’
গত লোকসভা নির্বাচনেও দেখা গেছে, বাম ও কংগ্রেসের ভোট ঢালাও চলে গেছে বিজেপি-র কাছে। এ বার জোটে লড়লে সেটা ঠেকানো যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।