নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে ৩৪ জনের নিহতের ঘটনায় তিতাস, বিদ্যুৎ বিভাগ ও মসজিদ কমিটির অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি। খুব তাড়াতাড়ি অভিযোগপত্রও দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান। এদিকে, মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতের কারাগারে বন্দি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থপাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান শেষের দিকে বলে জানান তিনি।
পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৬ জুন মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক লক্ষ্মীপুর দুই আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েত পুলিশ। এরপর তার সম্পর্কে অনুসন্ধানে নামে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
সংস্থার প্রধান ব্যারিস্টার মাহাবুবুর রহমান জানাচ্ছেন, অনুসন্ধান শেষে শিগগিরই এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমাদেরকে প্রায় ২২টা জায়গা থেকে রিপোর্ট আনতে হয়। এরপর কম্পাইল করে সিদ্ধান্তে আসতে হয়। এজন্য প্রতিবেদন জমা দিতে সময় লাগছে।
এদিকে, নারায়নগঞ্জের তল্লায় বায়তুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণে ৩৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মসজিদ কমিটি, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর চার প্রকৌশলীসহ ফতুল্লার তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের আটজনকে গ্রেফতার করে তারা।
সিনহা হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে রুবেল শর্মাকে আদালতে হস্তান্তর
মাহাবুবুর রহমান আরও বলেন, এ ঘটনার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখানে অনেকের দায়িত্বে ছিলো; কেউ গ্যাস লাইনের দায়িত্বে, কেউ ইলেক্ট্রিক লাইনের, কেউ মিটার দেখার দায়িত্বে ছিলো। তবে, শিগগিরই যে অভিযোগপত্র দেয়া হচ্ছে তাতে আসামির সংখ্যা ২০ জন ছাড়িয়ে যাবে।
তবে, বিস্ফোরণে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিহত হওয়ায়, তিতাসের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির যে অভিযোগ উঠেছে তা অমীমাংসিতই থেকে যাচ্ছে বলে জানায় সিআইডি।