খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, করোনা মহামারিতে নগর যুবলীগের কার্যক্রম প্রশংসার দাবি রাখে। একটি কথা মনে রাখতে হবে ভালো কাজের মূল্যায়ন হতেই হবে। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগর যুবলীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান নগর যুবলীগে যে আদর্শের চর্চা শুরু হয়েছে এর ধারাবাহিকতায় ইউনিট কমিটি গঠন করতে হবে। কেন্দ্রের অনুমতি নিয়ে থানা এবং ওয়ার্ড কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, খুলনা মহানগর যুবলীগ হবে একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন এখানে কোনো চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজের স্থান হবে না। যারা অন্যায় করেন তাদের দলে থাকার প্রয়োজন নেই। দলের নেতাকর্মীরা সৎ ও আদর্শবান হলে দল কখনো নেতৃত্ব শূন্য হবে না। দলে প্রত্যেকটি নেতাকর্মীর জবাবদিহিতা থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃসৌদিতে ৩ দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেন, যাদের সঙ্গে এলাকার সাধারণ মানুষের যোগাযোগ নেই তাদের কমিটিতে স্থান দেওয়া যাবে না। জনবিচ্ছিন্ন কোনো ব্যক্তি দলে থাকবে না।
মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজনের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা নূর ইসলাম বন্দ, মুন্সি মো. মাহবুব আলম সোহাগ, যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান হাফিজ, রোজি ইসলাম নদী, কামরুল ইসলাম, আব্দুল কাদের শেখ, আল আমীন উকিল, মো. আবুল হোসেন, কাজী কামাল হোসেন, নজরুল ইসলাম দুলু, শওকত হোসেন, শেখ মোহাম্মদ আলী, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, কবির পাঠান, তাজুল ইসলাম, কাজী ইব্রাহীম মার্শাল, জুয়েল হাসান দিপু, মহিদুল ইসলাম মিলন, মশিউর রহমান সুমন, মেহেদী হাসান মোড়ল, কে এম শাহীন, ইয়াসিন আরাফাত, রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।
সময় আরও বক্তব্য রাখেন খানজাহান আলী থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান রুপম, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী আকরাম হোসেন।
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ ও দোয়া মাহফিরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে ও মসজিদে দোয়া ও মিলাদ এবং মন্দিরে প্রার্থনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।