রাতের খাবারটা আপনি কি তাড়াতাড়ি খেয়ে নেন। এ কারণে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিংবা মাঝ রাতে আবার খিদে পেয়ে যায়। খিদে পেলে বুঝতে পারেন না কী খাবেন? উল্টাপাল্টা কিছু খেলে কিন্তু অ্যাসিডিটি হতে পারে। তাছাড়া ঘুমও আসবে না। তাই মাঝ রাতে খেতে হলে এমন কিছু খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে যাতে শরীরে খারাপ প্রভাব না পড়ে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক মাঝ রাতে খিদে পেলে যা খাবেন সে সম্পর্কে-
মাশরুম টোস্ট
মাঝ রাতেও যদি একটু সুস্বাদু কিছু খাওয়ার জন্য মন আনচান করে, তা হলে মাশরুম অন টোস্ট-এর কথা ভাবতে পারেন। মাশরুম ছোট করে কেটে একটু রসুন কুচি, লবণ, গোলমরিচ দিয়ে নেড়ে, সেঁকা পাঁউরুটির উপর ঢেলে দিন। তৈরি আপনার সুস্বাদু স্ন্যাক্স।
কলা
শুধুই স্বাস্থ্য নয় মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কলা উপকারী। এতে মেলাটোনিন হরমোন ক্ষরিত হয় যা আমাদের তাড়াতাড়ি ঘুমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান। একটি কলা টুকরা টুকরা করে কেটে তাতে সামান্য আমন্ড বাটার যোগ করতে পারেন।
ডিম
সিদ্ধ করা ডিম আপনি যেকোনো সময় খেতে পারেন। চাইলে এগ সালাদ বানিয়েও খেতে পারেন। যদি কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকে তবে ডিমের শুধু সাদা অংশটি খাওয়া উচিত। এতে ভিটামিন, প্রোটিন এবং ফ্যাট থাকে।
বাদাম
হাতের কাছে বাদামের একটি কৌটো রেখে দিন। তাতে চিনা বাদাম, কাঠ বাদাম, আমন্ড এগুলো রাখুন। যে সময় ক্ষুধা পাবে তখনই আপনি এক মুঠো করে এগুলো খেতে পারেন। এতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রতিদিন দেড় আউন্স করে বাদাম খেলে কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট থাকবে নিয়ন্ত্রণে। তার ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যাবে। তবে সেই বাদাম যেন নুনযুক্ত না হয়।