DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশুক্রবার ২৯শে নভেম্বর ২০২৪
ঢাকাশুক্রবার ২৯শে নভেম্বর ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘মামুন ফিরে আসছে, আমার গর্ভের নষ্ট হওয়া সন্তান কী ফিরে আসবে?’

News Editor
অক্টোবর ২, ২০২০ ৮:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কোনোরকম অপরাধের সঙ্গে জড়িত না হয়েও অপহরণ আর খুনের মতো অভিযোগে গার্মেন্টসকর্মী তাসলিমাকে দেড় বছর কারাভোগ করতে হয়েছে। মুখোমুখি হতে হয়েছে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের। গর্ভে থাকা বাচ্চা নষ্টও হয়েছে। দিনের পর দিন হাজিরা দিতে হয়েছে আদালতে। এতোসব ঘটনা যাকে ঘিরে সেই মামুন গেলো বুধবার জীবিত ফিরে জানান, তিনি অপহরণের শিকার হননি। নিজ ইচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।

তাসলিমার মা বলেন, আমাদের বাড়ি চাঁদপুরের মতলবে। মামুন আর আমাগো বাড়ি পাশাপাশি। মামুন হারায়া যাওনের দুই বছর আগে মাইয়ারে ফোনে বিরক্ত করতো। তখন ওরা দুজনেই ছোট ছিল। তাসলিমার তখন ১৪-১৫ বছর হইব। আমরা না করে দিসি যাতে ওরে বিরক্ত না করে। যদি বিয়া করতে চায় তাইলে আলাদা হিসাব। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনও যোগাযোগ নাই আমার মাইয়ার সাথে। মামলার পাঁচ মাস আগে আমার মাইয়ার বিয়া হয়। একদিন এলাকা দিয়া মাইয়া আর মাইয়ার জামাই যাইতাসিলো তখন আবুল কালাম, কালামের মাইয়া, কালামের বউ মিল্লা তাসলিমা আর ওর জামাইরে ইচ্ছামত মারলো। মারার সময় কইলো আমার মাইয়া নাকি মামুনরে মাইরা ফেলছে। ওই সময় তাসলিমার পেটে বাচ্চা। মাইরের চোটে মাইয়ার বাচ্চাও নষ্ট হইয়া গেছে তখন।

মামুনের বাপে পিটানের কয়েকদিন পর মতলব থানায় যায় আমাগো নামে মামলা করতে। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয় নাই। দুই মাস পরে হেরা ফতুল্লা থানায় আইসা মামলা করছে। সেই মতলব থেইক্কা আমরা আইসা আইসা হাজিরা দিতাম। আমার মাইয়ারে রিমান্ডে নিয়ে ইচ্ছামতো মারছে। মাইয়া হাঁটতে পারতো না। এক বছরের বেশি সময় এই মামলায় জেল খাটছে। এই বিচার এখন কে করবো? ওর বাচ্চা ফিরায়া দিতে পারবো? এই ছয় বছরের অশান্তি ফিরায়া দিতে পারবো?

তুরস্ককে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিল ইইউ

প্রসঙ্গত, মামুন ২০১৪ সালে নিখোঁজ হলেও দুই বছর পর ফতুল্লা মডেল থানায় মামুনের বাবা আবুল কালাম অপহরণের মামলা করেন। তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তাসলিমার সঙ্গে তার ছেলে মামুনের প্রেম ছিল। তাসলিমার ভাই তা মেনে নেয়নি। তারা মামুনকে অপহরণ করে আটকে রাখে।

আরো পড়ুন :  বেনাপোলে তৃতীয় দিনের মতো চলছে পরিবহন ধর্মঘট, ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীদের ভোগান্তি

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজান এক আসামির রিমান্ড শেষে আদালতে জবাবন্দি রেকর্ড করা আবেদনে একজন সাক্ষীর বরাত দিয়ে উল্লেখ করেন, তদন্তকালে জানা গেছে আসামিরা ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়।

বুধবার আসামিদের জামিনের আবেদনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন আইনজীবী। ওই দিন পুলিশের মৃত সেই মামুন আদালতপাড়ায় জীবিত হাজির হলে বিষ্মিত হয় বিবাদীপক্ষ আর আইনজীবী। এর মধ্যে দিয়ে নারায়ণগঞ্জে জন্ম নেয় আরেকটি জিসামনিকাণ্ড।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:০০
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:১৪
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৫
  • ১১:৪৯
  • ৩:৩৫
  • ৫:১৪
  • ৬:৩১
  • ৬:২০