ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo এনআইডি কার্ড ছাড়া ট্রেন ভ্রমণ বন্ধ : ডিসি সারোয়ার Logo আমরা যত দ্রুত পারি বিমানবন্দর চালু করব : বিমান উপদেষ্টা Logo কিশোরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের মিলনমেলা; ঐক্য ও সৌহার্দ্যের নতুন বন্ধন Logo রংপুরে শাশুড়িকে ধর্ষণের অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে Logo দেশে মাদ্রাসা বোর্ড পাশে এগিয়ে যদিও বৈরাটি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীই ফেল Logo রাজাপুর-কাঁঠালিয়া উন্নয়ন ফোরামের কমিটি গঠন সভাপতি আবু ইউসুফ সেক্রেটারি জসীম উদ্দীন Logo পানছড়ির উল্টাছড়িতে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন Logo শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা যাচাইয়ের আহ্বান উপ-প্রেস সচিবের Logo চট্টগ্রামের কারখানার ভয়াবহ আগুন ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে! Logo চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন নেভাতে সেনা ও নৌবাহিনীর সহায়তা

মার্কিন গোয়েন্দা বিমানকে ইন্দোনেশিয়ায় অবতরণের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি

News Editor
  • আপডেট সময় : ১০:১৮:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৬০ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিমানকে ইন্দোনেশিয়ায় অবতরণের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে দেশটির সরকার। মার্কিন কর্মকর্তাদের দফায় দফায় যোগাযোগ করা সত্ত্বেও জ্বালানি নিতে দেশটিতে নামার অনুমতি পায়নি মার্কিন পি-৮ পোসেইডন মেরিটাইম সার্ভেইলেন্সের বিমান।

মঙ্গলবার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ইন্দোনেশিয়ার চার জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মার্কিন কর্মকর্তারা এই বিমানগুলোকে ইন্দোনেশিয়ায় অবতরণ করে সেখান থেকে জ্বালানি নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো ইন্দোনেশিয়া।

নিউইয়র্কেও নিষিদ্ধ হলো প্লাস্টিক ব্যাগ

ওই কর্মকর্তারা জানান, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো যুক্তরাষ্ট্রের ওই আহ্বান প্রত্যাখ্যানের আগে বিষয়টি নিয়ে জাকার্তার উচ্চ পর্যায়ে দফায় দফায় যোগাযোগ করেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

এই বিষয়ে জানতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, জাকার্তায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেটনো মার্সুডির প্রতিনিধিরাও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের দেশ সবসময়ই নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী। এটাই তাদের দীর্ঘকালীন নীতি। দেশটি কখনোই কোনো বিদেশি সামরিক বাহিনীকে সেখানে কাজ করার অনুমতি দেয়নি।

মার্কিন পি-৮ পোসেইডন গোয়েন্দা বিমানগুলো মূলত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক তৎপরতার ওপর নজর রাখতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। সেখানকার বেশিরভাগ অঞ্চলই চীন নিজের বলে দাবি করে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ওই নৌপথের ইন্দোনেশিয়া কোনো আনুষ্ঠানিক দাবিদার নয়। তবে দক্ষিণ চীন সাগরের একটি অংশকে নিজেদের হিসেবে বিবেচনা করে দেশটি।

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেটনো মার্সুডি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগের যোগসূত্র রয়েছে তার দেশের। দেশটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাতের মধ্যে যেতে চায় না। এছাড়া দুই পরাশক্তির মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও দক্ষিণ চীন সাগরের সামরিকীকরণের কারণেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে দেয়া সাক্ষাৎকারে রেটনো জানান, আমরা দুই দেশের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আটকাতে চাই না।

সূত্র- রয়টার্স

মার্কিন গোয়েন্দা বিমানকে ইন্দোনেশিয়ায় অবতরণের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি

আপডেট সময় : ১০:১৮:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিমানকে ইন্দোনেশিয়ায় অবতরণের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে দেশটির সরকার। মার্কিন কর্মকর্তাদের দফায় দফায় যোগাযোগ করা সত্ত্বেও জ্বালানি নিতে দেশটিতে নামার অনুমতি পায়নি মার্কিন পি-৮ পোসেইডন মেরিটাইম সার্ভেইলেন্সের বিমান।

মঙ্গলবার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ইন্দোনেশিয়ার চার জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মার্কিন কর্মকর্তারা এই বিমানগুলোকে ইন্দোনেশিয়ায় অবতরণ করে সেখান থেকে জ্বালানি নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো ইন্দোনেশিয়া।

নিউইয়র্কেও নিষিদ্ধ হলো প্লাস্টিক ব্যাগ

ওই কর্মকর্তারা জানান, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো যুক্তরাষ্ট্রের ওই আহ্বান প্রত্যাখ্যানের আগে বিষয়টি নিয়ে জাকার্তার উচ্চ পর্যায়ে দফায় দফায় যোগাযোগ করেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

এই বিষয়ে জানতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, জাকার্তায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেটনো মার্সুডির প্রতিনিধিরাও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের দেশ সবসময়ই নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী। এটাই তাদের দীর্ঘকালীন নীতি। দেশটি কখনোই কোনো বিদেশি সামরিক বাহিনীকে সেখানে কাজ করার অনুমতি দেয়নি।

মার্কিন পি-৮ পোসেইডন গোয়েন্দা বিমানগুলো মূলত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক তৎপরতার ওপর নজর রাখতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। সেখানকার বেশিরভাগ অঞ্চলই চীন নিজের বলে দাবি করে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ওই নৌপথের ইন্দোনেশিয়া কোনো আনুষ্ঠানিক দাবিদার নয়। তবে দক্ষিণ চীন সাগরের একটি অংশকে নিজেদের হিসেবে বিবেচনা করে দেশটি।

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেটনো মার্সুডি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগের যোগসূত্র রয়েছে তার দেশের। দেশটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাতের মধ্যে যেতে চায় না। এছাড়া দুই পরাশক্তির মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও দক্ষিণ চীন সাগরের সামরিকীকরণের কারণেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে দেয়া সাক্ষাৎকারে রেটনো জানান, আমরা দুই দেশের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আটকাতে চাই না।

সূত্র- রয়টার্স