বাইরে বের হওয়া মানুষের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ তথ্য জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বিএনপি মাঠের রাজনীতি ফেসবুকে করছে: ওবায়দুল কাদের
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে কোভিড নিয়ে স্পেশাল আলোচনা হয়েছে। সব জায়গা থেকেই আমরা দেখছি, ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং থেকে দেখছি, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে আবার একটা প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েক দিন থেকে মিটিংয়ে কথাবার্তা বলছেন। সেখানে বিশেষভাবে নজর দিচ্ছেন যে, সবাই যাতে একটু কেয়ারফুল থাকি, পার্টিকুলারলি আমাদের দিক থেকে আমরা যেন সবাই মাস্ক ব্যবহার করি।
তিনি বলেন, বাকি কী হবে না হবে, সেটা তো একটা আনসার্টেন বিষয়। মাস্ক যদি আমরা সবাই ব্যবহার করি, তাহলে অটোমেটিক আমাদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে আসে। সেজন্য মানুষকে আরো বেশি করে সচেতন করতে হবে। অনেকের মধ্যে একটু রিল্যাক্স ভাব দেখা যাচ্ছে। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমরা যেন সবাই নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করি। অন্তত যখন বাইরে আসি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোনোভাবেই পাবলিক প্লেস বা মসজিদ বা অন্য গ্যাদারিং, সামনে দুর্গাপূজা, যেসব অনুষ্ঠান হবে কোনো অবস্থায়ই কেউ যেন মাস্ক ছাড়া না আসে। এটা আরেকটু ইনফোর্স করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা দৃঢ় ইচ্ছা ও আশা প্রকাশ করেছে যে, সবাই যদি মাস্ক ব্যবহারে সচেতন হয়, তাহলে অটোমেটিক্যালি এটা থেকে রিলিভ পাব’।
এ বিষয়ে মাঠ প্রশাসনকে কোনো নির্দেশনা দেয়া হবে কি-না, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘অলরেডি গতকাল কমিশনার কনফারেন্স ছিল, সেখানে আমরা ক্লিয়ার কাট ইনস্ট্রাকশন দিয়েছি। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হবে। কমিশনারদের এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মাস্ক পরাতে যেভাবে যতটুকু সম্ভব মানুষকে রিকোয়েস্ট, মোটিভেট করে বা ফোর্স যদি করতে হয়, আইন প্রয়োগ যদি করতে হয়, আইন প্রয়োগ করব’।
তিনি আরো বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে আমরা বলে দিয়েছি তারা যেন ইমামদের মাধ্যমে সব মসজিদ থেকে অন্তত জোহর ও মাগরিব নামাজের পর মাইক বা সামনাসামনি নামাজের সময় সচেতন করেন। প্রত্যেকটি মসজিদ, অন্যান্য বাজার বা গণজমায়েত হয়- এমন স্থানে যাতে স্লোগানের মতো (লেখা) থাকে যে, ‘অনুগ্রহ করে মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করবেন না।’ এটা সবার কাছেই রিকোয়েস্ট থাকবে।