বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে যেতে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে নৌযানগুলো নাফ নদের মিয়ানমারের কিছু অংশ ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে সেই রুট কিছুটা সরিয়ে আনা হয়েছে। আর এটাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা গুজব ছড়াচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। তবে এসব গুজবকে ভিত্তিহীন বলছে প্রশাসন।
পর্যটকবাহী জাহাজ কর্তৃপক্ষ ও ট্রলার মালিকরা জানান, নাব্যতা সংকটের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে গত ১০ বছর ধরে জাহাজ, ট্রলার ও স্পিড-বোটগুলোকে যাতায়াত করতে হয় মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া জলসীমা দিয়ে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এই জলসীমা অতিক্রম করতে সময় লাগে ৩০ মিনিটের বেশি। কিন্তু এতদিন ধরে নৌযান চলাচল করলেও কোনো সমস্যা হয়নি। তবে চলতি বছরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে শুরু হয় সংঘাত। যার জের ধরে এই মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া জলসীমায় চলছে গোলাগুলি। এ জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ রাখা হয়েছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল।
গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এটা মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে করা হয়েছে। তবে বিকল্পপথ বঙ্গোপসাগর হয়ে ট্রলার নিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত ও কক্সবাজার থেকে জাহাজে খাদ্যপণ্য পাঠানো হয়েছে। সাগর উত্তাল হওয়ায় একটু সমস্যা হচ্ছে।
গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন।
গত ৫ জুন থেকে আরাকান আর্মির সঙ্গে নাফ নদের জলসীমায় অবস্থানরত মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে থেমে থেমে গুলি ও গোলাবর্ষণ হচ্ছে। এর কিছু অংশ এসে পড়ছে বাংলাদেশের জলসীমায়। এ সময় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে গুলিও এসে পড়ে ট্রলারে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি। নিরাপত্তার স্বার্থে এই নৌরুটে বন্ধ করে দেওয়া হয় নৌযান চলাচল।