ঢাকা ০৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo খাগড়াছড়িতে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত Logo পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাড়াতে টার্গেট সেনাবাহিনী Logo খাগড়াছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান

মিরপুরের সিআরপিতে ইউএনও ওয়াহিদা

News Editor
  • আপডেট সময় : ০২:০২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০
  • / ১১৪১ বার পড়া হয়েছে

এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম।

তবে থেরাপির জন্য তাকে মিরপুরের সিআরপি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরো সার্জন মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রিন লাইনের পা হারানো রাসেলকে আরও ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়। এরপরই থাকে মিরপুরের সিআরপির উদ্দেশে নেয়া। সেখানে তাকে থেরাপি দেয়া হবে। কেননা তার হাঁটা-চলা করতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা।

ভেতরে ঢুকে ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুরে ও পরে রংপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় আনা হয়। তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয় ওয়াহিদাকে। তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে চার দিন পর তাঁকে আইসিইউ থেকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়াহিদা খানমকে বদলি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়। একই সঙ্গে রংপুরের পীরগঞ্জে ইউএনও হিসেবে কর্মরত থাকা তাঁর স্বামী মো. মেজবাউল হোসেনকে ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করা হয়।

এদিকে, ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করলেও মূল আসামি হিসেবে রবিউল নামের একজনকে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আসামি রবিউল আদালতে এ বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

তবে ওয়াহিদার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে- এই রবিউল হামলায় জড়িত নয়। যদিও রবিউল হামলাকারী বলে শতভাগ নিশ্চিত পুলিশ।

মিরপুরের সিআরপিতে ইউএনও ওয়াহিদা

আপডেট সময় : ০২:০২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম।

তবে থেরাপির জন্য তাকে মিরপুরের সিআরপি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরো সার্জন মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রিন লাইনের পা হারানো রাসেলকে আরও ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়। এরপরই থাকে মিরপুরের সিআরপির উদ্দেশে নেয়া। সেখানে তাকে থেরাপি দেয়া হবে। কেননা তার হাঁটা-চলা করতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা।

ভেতরে ঢুকে ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুরে ও পরে রংপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় আনা হয়। তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয় ওয়াহিদাকে। তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে চার দিন পর তাঁকে আইসিইউ থেকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়াহিদা খানমকে বদলি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়। একই সঙ্গে রংপুরের পীরগঞ্জে ইউএনও হিসেবে কর্মরত থাকা তাঁর স্বামী মো. মেজবাউল হোসেনকে ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করা হয়।

এদিকে, ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করলেও মূল আসামি হিসেবে রবিউল নামের একজনকে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আসামি রবিউল আদালতে এ বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

তবে ওয়াহিদার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে- এই রবিউল হামলায় জড়িত নয়। যদিও রবিউল হামলাকারী বলে শতভাগ নিশ্চিত পুলিশ।