ঢাকা ১২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চাকসুতে ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের Logo এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের সংখ্যায় বিপর্যয় — মাত্র ৩৪৫ প্রতিষ্ঠান Logo কিশোরগঞ্জে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হামলা ও লুটপাট Logo নিজের যোগ্যতায় আসতে হবে: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর Logo শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল শুরু যেহেতু শিক্ষকগণ কেন্দ্রিয় শহীদাঙ্গনে জড়ো। Logo ঈশ্বরগঞ্জে হাত ধোয়ার গুরুত্ব বিষয়ে সচেতনতামূলক র‍্যালি ও প্রদর্শনী Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ Logo কারো কোনো ব্যথা নেই, শিক্ষকদের দাবি না মানায় চলছে টানা কর্মবিরতি Logo দশমিনা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইকবালের চতুর্থ জানাযা সম্পন্ন Logo শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সনেট

মিয়ানমারকে কাছে টানছে ভারত

News Editor
  • আপডেট সময় : ১১:৫০:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৬১ বার পড়া হয়েছে

দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব খর্ব করতে মিয়ানমারকে কাছে টানছে ভারত। দেশটিতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে নরেন্দ্র মোদি প্রশাসন। রাখাইনে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর করছে বেইজিং। যাকে টেক্কা দিতে, আগামী বছরই ভারতীয় অর্থায়নে শুরু হচ্ছে, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাখাইনের সিত্তি বন্দর প্রকল্পের কাজ। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চীন-ভারত দ্বন্দ্বে মাঝখান থেকে মিয়ানমার তার অবস্থান আরও পোক্ত করে নিচ্ছে।

রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত মিয়ানমার নানাভাবে টালবাহানা করে আটকে রেখেছে প্রত্যাবাসন। এমনকি নভেম্বরের নির্বাচনেও ভোট দেয়ার সুযোগ নেই রাখাইনে থাকা অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই মিয়ানমার সফর করেছে ভারতীয় প্রতিনিধিদল। সফরে চূড়ান্ত হয়েছে, নেইপিদোতে নয়াদিল্লির আরও বড় ধরনের বিনিয়োগের বিষয়টি।

রাখাইনে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিত্তি বন্দর প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার ও ভারত। প্রকল্পটির আনুমানিক ব্যয় প্রায় ৪৮ কোটি মার্কিন ডলার। দিল্লির কৌশলগত লক্ষ্য সিত্তি বন্দর ঘিরে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা নির্মাণ। ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বছরের শুরুতেই যৌথ বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এর মাধ্যমে ভারত বঙ্গোপসাগর ও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চীনা প্রভাব মোকাবিলার চেষ্টা চালাবে বলে প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে।

ধনকুবেরদের সম্পত্তি বেড়েছে ১০.২ ট্রিলিয়ন

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিত্তির ভ্রমণ দূরত্ব কমে যাবে প্রায় এক হাজার ৩২৮ কিলোমিটার। কলকাতার সঙ্গে ভারতের সেভেন সিস্টার্সের রাজ্যগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ সহজ হবে। এ ছাড়া মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর যোগাযোগ আরও বাড়াতে চায় মোদি প্রশাসন।

দিল্লির সহায়তায় মহাসড়কসহ বেশ কয়েকটি অবকাঠামো প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও দুদেশের আলোচনা হয়েছে। ছয় বিলিয়ন ডলার খরচ করে মিয়ানমারে তেল শোধনাগার তৈরি করে দিচ্ছে ভারত।

ভারতের সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে ও পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রোববার ও সোমবার মিয়ানমার সফর করে। সফরে ভারতীয় কর্মকর্তারা স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি, সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

মিয়ানমারকে কাছে টানছে ভারত

আপডেট সময় : ১১:৫০:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০

দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব খর্ব করতে মিয়ানমারকে কাছে টানছে ভারত। দেশটিতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে নরেন্দ্র মোদি প্রশাসন। রাখাইনে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর করছে বেইজিং। যাকে টেক্কা দিতে, আগামী বছরই ভারতীয় অর্থায়নে শুরু হচ্ছে, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাখাইনের সিত্তি বন্দর প্রকল্পের কাজ। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চীন-ভারত দ্বন্দ্বে মাঝখান থেকে মিয়ানমার তার অবস্থান আরও পোক্ত করে নিচ্ছে।

রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত মিয়ানমার নানাভাবে টালবাহানা করে আটকে রেখেছে প্রত্যাবাসন। এমনকি নভেম্বরের নির্বাচনেও ভোট দেয়ার সুযোগ নেই রাখাইনে থাকা অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই মিয়ানমার সফর করেছে ভারতীয় প্রতিনিধিদল। সফরে চূড়ান্ত হয়েছে, নেইপিদোতে নয়াদিল্লির আরও বড় ধরনের বিনিয়োগের বিষয়টি।

রাখাইনে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিত্তি বন্দর প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার ও ভারত। প্রকল্পটির আনুমানিক ব্যয় প্রায় ৪৮ কোটি মার্কিন ডলার। দিল্লির কৌশলগত লক্ষ্য সিত্তি বন্দর ঘিরে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা নির্মাণ। ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বছরের শুরুতেই যৌথ বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এর মাধ্যমে ভারত বঙ্গোপসাগর ও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চীনা প্রভাব মোকাবিলার চেষ্টা চালাবে বলে প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে।

ধনকুবেরদের সম্পত্তি বেড়েছে ১০.২ ট্রিলিয়ন

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিত্তির ভ্রমণ দূরত্ব কমে যাবে প্রায় এক হাজার ৩২৮ কিলোমিটার। কলকাতার সঙ্গে ভারতের সেভেন সিস্টার্সের রাজ্যগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ সহজ হবে। এ ছাড়া মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর যোগাযোগ আরও বাড়াতে চায় মোদি প্রশাসন।

দিল্লির সহায়তায় মহাসড়কসহ বেশ কয়েকটি অবকাঠামো প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও দুদেশের আলোচনা হয়েছে। ছয় বিলিয়ন ডলার খরচ করে মিয়ানমারে তেল শোধনাগার তৈরি করে দিচ্ছে ভারত।

ভারতের সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে ও পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রোববার ও সোমবার মিয়ানমার সফর করে। সফরে ভারতীয় কর্মকর্তারা স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি, সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।