ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ছাত্রী ধর্ষণ’ মামলার আসামি নুরুল হক নুরসহ সব ধর্ষককে দ্রুত গ্রেফতার এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শাহবাগ গোল চত্বর অবরোধ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ (বুলবুল-মামুন) শাখার নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। সেখান থেকে তারা শাহবাগ অভিমুখে পদযাত্রা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন তারা।
গতকাল শুক্রবার একই স্থানে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে মহাসমাবেশ করেন বিভিন্ন ছাত্র ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে আগামী ১৬ ও ১৭ অক্টোবর নোয়াখালী অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অপসারণ চেয়ে নয় দফা দাবি ঘোষণা করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা অনুষ্ঠিত
শাহবাগে প্রতিদিন বিকেল থেকে লাগাতার অবস্থান, ১১ অক্টোবর আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ১২ অক্টোবর সাংস্কৃতিক সমাবেশ, ১৩ অক্টোবর চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, ১৪ অক্টোবর নারী সমাবেশ, ১৫ অক্টোবর সাইকেল র্যালির ঘোষণা করা হয়।
মহাসমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, যুব ইউনিয়ন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, নারী সংহতি, গার্মেন্ট টিইউসিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে গতকালের আয়োজিত মহাসমাবেশের ঠিক পরদিন একই স্থানে অবস্থান করলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, ‘আমরা ধর্ষণের বিচারের দাবিতে এখানে এসেছি। ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় নুর গংদের অন্তত একজন গ্রেফতার হলে আমরা অবরোধ তুলে নেব।’
এদিকে ধর্ষণের বিচার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল শুক্রবার টানা ২৭ ঘণ্টা অনশনের কারণে শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি চিকিৎসক টিম চিকিৎসা প্রদান দেয়।