ইরানি হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের তথ্য হ্যাক করেছে বলে মার্কিন ফেডারেল কর্মকর্তারা অভিযোগ তুলেছেন। কট্টর ডানপন্থি এবং নব্য ফ্যাসিবাদী প্রাউড বয়েজ নামের একটি গ্রুপের নামে ভোটারদের হুমকি দিয়ে বেশ কিছু মেইল পাঠানো হয়েছে। এই গ্রুপটি যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় রাজনৈকি সহিংসতামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করে থাকে।
মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, ওই গ্রুপটির নামে মার্কিন ভোটারদের হুমকি-মূলক মেইল পাঠিয়ে ইরানি হ্যাকাররা। শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেডারেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যের ভোটার রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ইরানি হ্যাকারদের হাতে রয়েছে। তারা হাজার হাজার ভোটারকে হুমকি দিয়ে মেইল পাঠাচ্ছে।
গত সপ্তাহে অনলাইনে হ্যাকাররা একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ওই ভিডিওর উদ্দেশ ছিল এটা দেখানো যে তাদের হাতে মার্কিন ভোটারদের তথ্য আছে।
ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি, সাইবার সিকিউরিটি ও অবকাঠামো সুরক্ষা সংস্থার পক্ষ থেকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, ইরানি হ্যাকাররা কমপক্ষে একটি অঙ্গরাজ্যের ভোটার নিবন্ধনের তথ্য পেয়েছে।
ভালোবাসার খোজে ১০ বার বিয়ে মার্কিন ৫৬ বছর বয়সী নারীর
এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, যেসব ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে তা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, এগুলো প্রপাগান্ডামূলক ভিডিও। গত সপ্তাহে ফ্লোরিডা, আলাস্কাসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের হুমকি দিয়ে ইমেইল পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নির্বাচনের দিন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেবেন নইলে আমরা আপনাদের দেখে নেব।
মেইলগুলো এমনভাবে পাঠানো হয়েছে যেন এগুলো দেখে মনে হয় যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানানো প্রাউড বয়েজ নামের ঘৃণা ছড়িয়ে থাকে এমন একটি গ্রুপ এগুলো পাঠিয়েছে। কিন্তু মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো গত সপ্তাহে ঘোষণা দেয় যে, এগুলো আসলে ইরানি হ্যাকারদের কাজ।
কিছু মেইলে ভোটারদের বাড়ির ঠিকানাও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। যদিও গত সপ্তাহে ইরানের পক্ষ থেকে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। সে সময় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, ইরান ও রাশিয়ার কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের তথ্য রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান যে, ডেমোক্র্যাটিক ভোটারদের হুমকি দিয়ে মেইল পাঠানোর পেছনে ইরানের হাত রয়েছে। দেশটির পাশাপাশি রাশিয়ার কাছেও যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের তথ্য রয়েছে বলে দাবি করা হয়।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক জন র্যাটক্লিফ জানান, ওই ই-মেইলগুলো কট্টর ডানপন্থী গ্রুপের আদলে এসেছে। জন র্যাটক্লিফের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছিলেন এফবিআইয়ের পরিচালক ক্রিসটোফার রে। এদিকে ইরান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো অন্য কোনো দেশের নির্বাচনে তেহরান হস্তক্ষেপ করে না।