লালমনিরহাটের পাটগ্রামে মোস্তফা আলী নামে এক রং মিস্ত্রিকে গাছে রশি দিয়ে বেঁধে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার মোস্তফা আলী ওই উপজেলার সদর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সর্দারপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে।
নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করে রোববার আদালতে পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মোস্তফা আলী রং মিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত শনিবার সকালে মোস্তফা আলী নিজ বাড়ি থেকে রং কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা নিয়ে রংপুরের উদ্দেশে রওনা করে। পথিমধ্যে জগতবেড় ইউপির ডাকুয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে একই এলাকার হামিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম, মেয়ে হাওয়া খাতুন , আব্দুল খালেক, নুরুল হক, মোস্তফা ও ফাতেমা বেগম সবাই মিলে মোস্তফা আলীকে আটক করে তার কাছে ১২ হাজার টাকা দাবি করে। মোস্তফা ওই টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারপিট করে এবং তার সঙ্গে থাকা ৫০ হাজার টাকা ও ১টি মোবাইল কেড়ে নেয়। এরপর তাকে কাঁঠাল গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
আবরার হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু, বাবার কান্না
এ ঘটনায় ওই দিনই নির্যাতনের শিকার মোস্তফা আলীর স্ত্রী মহসেনা বেগম পাটগ্রাম থানায় মামলা করেন। পাটগ্রাম থানা পুলিশ অভিযুক্ত হামিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম, আব্দুল খালেক ও ফাতেমা বেগমকে গ্রেফতার করে রোববার লালমনিরহাট আদালতে পাঠায়।
পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত বলেন, ওই ঘটনায় নির্যাতনের শিকার মোস্তফা আলীর স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।