রক্তের উপর দাড়িয়ে উৎসবের রাজনীতির খেসারত জিয়া পরিবারকে আজও দিতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনি। তিনি বলেন, রক্তের উপর দাড়িয়ে উৎসবের রাজনীতির খেসারত জিয়া পরিবারকে আজও দিতে হচ্ছে৷
তিনি বলেন আজ ৭ নভেম্বর, মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস। তথাকথিত সিপাহী বিপ্লবের নামে ১৯৭৫ সালের এদিনে শুরু হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা-সদস্যদের হত্যার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সর্বপ্রথম এদিন হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধের তিন বীর সেনা কর্মকর্তাকে। যারা প্রত্যেকেই ছিলেন বীর উত্তম, বীর প্রতীক খেতাবের অধিকারী। খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম, কে এন হুদা বীরউত্তম এবং এ এটি এম হায়দার বীরবিক্রমকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদিন জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলের রাজনীতি শুরু হয়।
গণতন্ত্র ধ্বংস করে জোর করে ক্ষমতায় আছে সরকার: ফখরুল
তিনি আরো বলেন ৭২ এর সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে জিয়াউর রহমানের একের পর এক ক্ষমতার চেয়ার দখলের ইতিহাসের সূচনা হয় এ দিনটিতে। বেতারে ঘোষনা দিয়ে কখনো নিজেকে সামরিক আইন প্রশাসক, কখনো উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, কখনো আবার হ্যাঁ ভোট-না ভোটের মতো অসাংবিধানিক ও উদ্ভট ভোটের নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন। এমনকি স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতিতে সুযোগ করে দিয়ে নিজেকে দেশের প্রেসিডেন্টও বানিয়ে ফেলেছিলেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর থেকে শুরু করে ১৯৮১ সালের ৩০ মে পর্যন্ত জিয়াউর রহমানের অবৈধ শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী ৪ হাজারের অধিক সামরিক কর্মকর্তা-সদস্যকে বিচারের নামে হত্যা করা হয়েছিলো। যাদের প্রায় সবাই একাত্তরের রণাঙ্গনের সম্মুখ সাহসী যোদ্ধা ছিলেন।
‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবসে’ যেসকল রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় বিপ্লব সংহতি দিবস’ বা ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান’ দিবস পালন করে তাদের প্রতি ঘৃণা-ধিক্কার জানালাম। হাজার হাজার দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তার রক্তের উপর দাড়িয়ে যারা উৎসবের দিন উদযাপন করে তাদের বাংলার মানুষ আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত করেছে। রক্তের উপর দাড়িয়ে উৎসবের রাজনীতির খেসারত জিয়া পরিবারকে আজও দিতে হচ্ছে। বিএনপি-জাসদ, জিয়াউর রহমানতো বটেই এমনকি কর্ণেল তাহেরকেও এই পৃথিবী ক্ষমা করেনি।