রন বিক্রম ত্রিপুরা পাহাড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা। ক্ষমতার চেয়ার হারানোর অজানা আতংকে দয়া করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করবেন না!-জুয়েল।
আস্থা ডেস্কঃ
বীর মুক্তিযোদ্ধা রন বিক্রম ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রামে মহান মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য গৌরবময় জীবন্ত ইতিহাসের নাম।
যার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক কালে চরম ঈর্শ্বানিত হয়ে বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে কুৎসা রটানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন, যা কাম্য নহে।
এতে করে-আপনি নিজেকে রাষ্ট্র ও তৃনমূল নেতাকর্মীর নিকট ক্ষমতা পিপাসু ও নব্য রাজাকার হিসেবে স্পষ্ট্য করেছেন।
আর এ জন্য আপনি নিজের অজান্তে হারালেন গুডবুকের সিরিয়াল নাম্বারও। ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখুন, দলের মধ্য একাধিক গ্রুপিং ঝিইয়ে রাখা, জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে আপনার সিরিয়াল নাম্বার এখন পৃষ্টার বাহিরে…আফসোস!
আশা করি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অপকর্ম হতে নিজেকে বিরত রাখবেন। আর সময় পেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা রনবিক্রম ত্রিপুরার মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তীকালের ইতিহাসটুকু পড়ে নেবেন।
-১৯৭১ এর পহেলা মার্চ বাংলাদেশে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলে সেই সংগ্রাম পরিষদে সদস্য হিসেবে ২৫ শে মার্চ সরাসরি মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন রনবিক্রম ত্রিপুরা।
-যুদ্ধকালীন সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের তৎকালীন ডেপুটি কমিশনার এইচ.টি.ইমাম এর তত্বাবধানে বিদ্রোহী ই.পি.আর ইউনিট ও বেঙ্গল রেজিমেন্ট থেকে পালিয়ে আসা সৈনিকদের রসদ সরবরাহসহ তাদেরকে সংগঠিত করতে সহায়তাসহ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
-পরবর্তীতে শেখ ফজলুল হক মনি (ভাই) কর্তৃক মুজিব বাহিনীর (BLF)) জেলা প্রধান হিসেবে ৮ই ডিসেম্বর মিত্র বাহিনীসহ রামগড়ে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত এবং যুদ্ধ চলমান রেখে ১৬ই ডিসেম্বর মানিকছড়ি ও ফটিকছড়িতে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত করা হয়।
-এখানেই শেষ নয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট পরবর্তী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১৯৭৬ সাল হতে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত বিনা বিচারে দীর্ঘ প্রায় ০৪ (চার) বৎসর তৎকালীন মোশতাক,জিয়া বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন ও অনির্দিষ্টকালীন আটক আদেশ নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাভোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রনবিক্রম ত্রিপুরা। কারামুক্তির পরও জিয়ার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রনবিক্রম ত্রিপুরার পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।
-এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা রনবিক্রম ত্রিপুরার প্রয়াত পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা বরেন্দ্র কুমার ত্রিপুরাসহ একই পরিবারে চারজন মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস স্বর্নাক্ষরে লিখা।
বর্তমানে তিনি খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ’র জাতীয় পরিষদ সদস্য।
যিনি এর আগে(১৯৬৭-১৯৭১) অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগ’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৭২-১৯৭৫ যুবলীগ এর প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসবক বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রশ্ন জাগে মহোদয়, আপনিতো নিজেকে অনেক বড় ত্যাগী বলে দাবি করেন, “তো” আপনি দলের জন্য কী একদিনও জেল খেঁটেছেন? খাটেন নাই তো। আপনি খেটেছেন নিজের…বাড়ানোর প্রতিযোগিতায়। আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও খাগড়াছড়ি’র আপামর জনতা কখনো আপনার কাছ থেকে এমনটি প্রত্যাশা করিনি!