রাজধানীতে জামায়াত-বিএনপির ৮৪১ নেতা-কর্মী কারাগারে
আস্থা ডেস্কঃ
নাশকতার বিভিন্ন মামলায় ঢাকা মহানগর ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আটক ৮শ ৪১ জন
জামায়াত-বিএনপির নেতা-কর্মী ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) তাঁদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা মহানগর এলাকার বিভিন্ন থানায় পুরোনো ও নতুন একাধিক মামলায় আটক দেখিয়ে ৮শ ৪১ জনকে এবং ঢাকা জেলার চার থানা থেকে ১৭ জন আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পুরাতন বিভিন্ন মামলায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ৫৭ জন, মিরপুর ৬৬ জন, শেরেবাংলা নগর ১ জন, মুগদা ৪ জন, খিলগাঁও ১২ জন, ডেমরা ২৭ জন, ওয়ারি ২১ জন, আদাবর ৭ জন, মোহাম্মদপুর ৭ জন, হাতিরঝিল ৫৩ জন, তেজগাঁও ১ জন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ১ জন, পল্লবী ২৩ জন, কাফরুল ৭ জন, মতিঝিল ৬ জন, পল্টন ৬ জন, শাহবাগ ২ জন, রমনা ১ জন, সবুজবাগ ৮ জন, রামপুরা ১ জন, কলাবাগান ৩ জন, খিলখেত ১ জন, গেন্ডারিয়া ১৫ জন, বিমানবন্দর ১ জন, দক্ষিণখান ৭ জন, কামরাঙ্গীরচর ৪ জন, লালবাগ ৬ জন,
কদমতলীর ৯ জন, শ্যামপুর ২১ জন, উত্তরা পশ্চিম ৩ জন, ধানমন্ডি ৮ জন, হাজারীবাগ ৬ জন, বনানী ৮ জন, বাড্ডা ৬ জন, ভাটারা ৮ জন, দারুস সালাম ২৪ জন, শাজাহানপুর ২৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
গতকাল শুক্রবার পল্টন থানায় দায়ের করা একটি নতুন মামলায় ১শ ৭৮ জনকে আদালতে হাজির করার পর সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঢাকা মহানগরী থেকে নিয়মিত মামলায় আটক দেখিয়ে মোট ৬শ ৪৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশ ও ভবঘুরে হিসেবে আটক রাখার জন্য রাজধানীর বিভিন্ন থানা থেকে আটক আরও ১শ ৭৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ঢাকা মহানগরী থেকে আটক মোট ৮শ ২৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে ঢাকা জেলার ৪টি থানা থেকে মোট ১৭ জনকে আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এঁদের মধ্যে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় ৯ জন, সাভার থানায় ১, ধামরাই ২ ও আশুলিয়া থানায় আটক ৫ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর থেকে আটক ৮শ ৪১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা পুলিশের প্রিজন ভ্যানে থাকা অবস্থায় সরকারের বিরুদ্ধে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।