আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতিই হচ্ছে বিএনপির গণতন্ত্র। বিএনপির বহুদলীয় গণতন্ত্রের আরেক রূপ ছিল হ্যাঁ-না ভোট। কাদের বলেন, রাজপথ আর আন্দোলন বিএনপির এখন অজানা। বিএনপির বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল রাতের বেলায় কারফিউ গণতন্ত্র। রাজপথ আর আন্দোলন বিএনপির এখন অজানা: কাদের
৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপি নেতাদের মিথ্যা ও সরকারের বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদে রোববার (০৮ নভেম্বর) সকালে সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলতে না চাইলেও তারা বাধ্য করে বলতে, তারা কল্পিত বানানো অভিযোগ করলে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জবাব তো দিতেই হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি মহাসচিব বলেছেন তথাকথিত বিপ্লব ও সংহতির মাধ্যমে ৭ নভেম্বর না কি দেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছিল, এর জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি ঠিকই বলেছেন ৩ থেকে ৭ নভেম্বরর মধ্যে জাতীয় চার নেতাসহ দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা ও সিপাহি হত্যার মাধ্যমে একজন জেনারেলের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন বাস্তবায়ন তাদের কাছে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা মনে হওয়াই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: নূর-রাশেদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ,সংগঠনে পদত্যাগের হিড়িক
তিনি বলেন, এর আগে ৭১-এর পরাজিত শক্তি পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ঘটিয়েছিল ৭৫ এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড, সেদিনটিকে বিএনপি মনে করে প্রথমবারের স্বাধীনতা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা করা সম্ভব হলে বিএনপি নেতারা বলত তৃতীয় বারের মতো স্বাধীন হয়েছে দেশ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের জনগণ বিশ্বাস এবং মনে করেন প্রকৃতপক্ষে ৭ নভেম্বর হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা ও গণতন্ত্র হত্যা দিবস।
বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলা বিষয়ে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কোনও মামলা দেয়নি, তার বিরুদ্ধে সব মামলা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের করা।
বিএনপির গণতন্ত্র উদ্ধার আর বেগম জিয়াকে মুক্ত করার শপথ নেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ রকম শপথ প্রায়ই তারা নেন, তারপর জনগণ আর তাদের দেখে না, কর্মীরা রাজপথে খুঁজে পায় না। তাদের শপথের ওপরই এখন নির্ভরতা, রাজপথ আর আন্দোলন এখন বিএনপির অচেনা।
আরও পড়ুন: তরুণীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁস
শেখ হাসিনা সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক শক্তির যে কোনও হামলায় সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অতীতের যে কোনও ঘটনাকেই সরকার প্রশ্রয় দেয়নি।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনও কোনও নেতার সরকারের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তা সত্যি নয়, আওয়ামী লীগের আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি পূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং সরকার কখনো নীরব দর্শক হিসেবে থাকেনি।