রামগড়ে মা ও দাদীকে হত্যা, ছেলের মামলায় নৃশংস কাহিনি প্রকাশ
- আপডেট সময় : ০১:০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
রামগড়ে মা ও দাদীকে হত্যা, ছেলের মামলায় নৃশংস কাহিনি প্রকাশ
মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ
খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় পৌরসভায় হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, পারিবারিক কলহ ও টাকার জন্য অপমানিত হওয়ার জেরে নাতিই এই দ্বৈত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০ আগস্ট রাত থেকে ২১ আগস্ট ভোরের যেকোনো সময় রামগড় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব বাগান টিলায় নিজ বসতঘরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতরা হলেন, আমেনা খাতুন (৮৮) এবং তার মেয়ে রাহেনা আক্তার (৪০)।
২২ আগস্ট নিহত রাহেনা আক্তারের একমাত্র ছেলে মোঃ হাসান (২০) বাদী হয়ে রামগড় থানায় মামলা (নং-০৪) দায়ের করেন। মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আসামি সাইফুল ইসলাম (৩৫) ঘটনার দিন রাতে তার দাদীর বাড়িতে আসে। সে টাকা দাবি করলে ভিকটিমরা তাকে গালমন্দ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাইফুল খাবার না খেয়ে দাদীর ঘরে শুয়ে পড়ে এবং হত্যার পরিকল্পনা করে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, রাত গভীর হলে দাদী ও ফুফু আলাদা কক্ষে ঘুমিয়ে গেলে সে দাদীর ঘরে থাকা বাঁশ কাটার দা হাতে নেয়। প্রথমে রাহেনা আক্তারের ঘরে ঢুকে তার গলায় কোপ দেয়। ঘটনাস্থলেই রাহেনা মারা যান। এরপর নিজের দাদী আমেনা খাতুনকেও একইভাবে হত্যা করে।
হত্যার পর আসামি সাইফুল রাহেনা আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে চট্টগ্রামের ভুজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নের ইসলামপুর বাজারে দোকানদার নুরুল আলমের কাছে মোবাইলটি ৪শ টাকায় বিক্রি করে।
সাইফুল ইসলাম ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর কুহুমা দারোগাছড়া গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে সে চট্টগ্রামের ভুজপুর থানার পূর্ব শিকদারখীল এলাকায় কেয়ারটেকার হিসেবে চাকুরী করছিল।
পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, আসামিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেছে। এছাড়া মোবাইল বিক্রির বিষয়েও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা নৃশংস এ ঘটনায় দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।