ঢাকা ০১:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রেজাউল করিম খান চুন্নুর সমর্থকদের গণমিছিল Logo পানছড়িতে শিক্ষার্থীর হাতে ওয়াদুদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অনুদান তুলে দিলো স্বেচ্ছা সেবক দল Logo পানছড়িতে অসহায়, গরীব ও দুস্থের মাঝে ৩ বিজিবির মানবিক সহায়তা বিতরণ Logo সীমান্ত কার্যক্রম নিয়ে প্রেস বিফ্রিং করেছে পানছড়ি বিজিবি Logo শেখ হাসিনার প্লট দুর্নীতির মামলায় রায় ঘোষণা আজ Logo মধ্যরাতে বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্প, কাঁপল টেকনাফ Logo গিনি-বিসাউয়ে ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী, প্রেসিডেন্ট গ্রেপ্তার Logo মোজাম্মেল জাহানারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo বাহেরবালী নয়াহাটি মানবিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ Logo পাহাড় থেকেই তৈরি হবে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব: সাদিক কায়েম

রামগড়ে মা ও দাদীকে হত্যা, ছেলের মামলায় নৃশংস কাহিনি প্রকাশ

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০১:০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৪৩৪ বার পড়া হয়েছে

রামগড়ে মা ও দাদীকে হত্যা, ছেলের মামলায় নৃশংস কাহিনি প্রকাশ

মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ

খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় পৌরসভায় হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, পারিবারিক কলহ ও টাকার জন্য অপমানিত হওয়ার জেরে নাতিই এই দ্বৈত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০ আগস্ট রাত থেকে ২১ আগস্ট ভোরের যেকোনো সময় রামগড় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব বাগান টিলায় নিজ বসতঘরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতরা হলেন, আমেনা খাতুন (৮৮) এবং তার মেয়ে রাহেনা আক্তার (৪০)।

২২ আগস্ট নিহত রাহেনা আক্তারের একমাত্র ছেলে মোঃ হাসান (২০) বাদী হয়ে রামগড় থানায় মামলা (নং-০৪) দায়ের করেন। মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আসামি সাইফুল ইসলাম (৩৫) ঘটনার দিন রাতে তার দাদীর বাড়িতে আসে। সে টাকা দাবি করলে ভিকটিমরা তাকে গালমন্দ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাইফুল খাবার না খেয়ে দাদীর ঘরে শুয়ে পড়ে এবং হত্যার পরিকল্পনা করে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, রাত গভীর হলে দাদী ও ফুফু আলাদা কক্ষে ঘুমিয়ে গেলে সে দাদীর ঘরে থাকা বাঁশ কাটার দা হাতে নেয়। প্রথমে রাহেনা আক্তারের ঘরে ঢুকে তার গলায় কোপ দেয়। ঘটনাস্থলেই রাহেনা মারা যান। এরপর নিজের দাদী আমেনা খাতুনকেও একইভাবে হত্যা করে।

হত্যার পর আসামি সাইফুল রাহেনা আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে চট্টগ্রামের ভুজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নের ইসলামপুর বাজারে দোকানদার নুরুল আলমের কাছে মোবাইলটি ৪শ টাকায় বিক্রি করে।

সাইফুল ইসলাম ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর কুহুমা দারোগাছড়া গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে সে চট্টগ্রামের ভুজপুর থানার পূর্ব শিকদারখীল এলাকায় কেয়ারটেকার হিসেবে চাকুরী করছিল।

পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, আসামিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেছে। এছাড়া মোবাইল বিক্রির বিষয়েও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা নৃশংস এ ঘটনায় দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

ট্যাগস :

রামগড়ে মা ও দাদীকে হত্যা, ছেলের মামলায় নৃশংস কাহিনি প্রকাশ

আপডেট সময় : ০১:০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

রামগড়ে মা ও দাদীকে হত্যা, ছেলের মামলায় নৃশংস কাহিনি প্রকাশ

মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ

খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় পৌরসভায় হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, পারিবারিক কলহ ও টাকার জন্য অপমানিত হওয়ার জেরে নাতিই এই দ্বৈত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০ আগস্ট রাত থেকে ২১ আগস্ট ভোরের যেকোনো সময় রামগড় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব বাগান টিলায় নিজ বসতঘরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতরা হলেন, আমেনা খাতুন (৮৮) এবং তার মেয়ে রাহেনা আক্তার (৪০)।

২২ আগস্ট নিহত রাহেনা আক্তারের একমাত্র ছেলে মোঃ হাসান (২০) বাদী হয়ে রামগড় থানায় মামলা (নং-০৪) দায়ের করেন। মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আসামি সাইফুল ইসলাম (৩৫) ঘটনার দিন রাতে তার দাদীর বাড়িতে আসে। সে টাকা দাবি করলে ভিকটিমরা তাকে গালমন্দ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাইফুল খাবার না খেয়ে দাদীর ঘরে শুয়ে পড়ে এবং হত্যার পরিকল্পনা করে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, রাত গভীর হলে দাদী ও ফুফু আলাদা কক্ষে ঘুমিয়ে গেলে সে দাদীর ঘরে থাকা বাঁশ কাটার দা হাতে নেয়। প্রথমে রাহেনা আক্তারের ঘরে ঢুকে তার গলায় কোপ দেয়। ঘটনাস্থলেই রাহেনা মারা যান। এরপর নিজের দাদী আমেনা খাতুনকেও একইভাবে হত্যা করে।

হত্যার পর আসামি সাইফুল রাহেনা আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে চট্টগ্রামের ভুজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নের ইসলামপুর বাজারে দোকানদার নুরুল আলমের কাছে মোবাইলটি ৪শ টাকায় বিক্রি করে।

সাইফুল ইসলাম ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর কুহুমা দারোগাছড়া গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে সে চট্টগ্রামের ভুজপুর থানার পূর্ব শিকদারখীল এলাকায় কেয়ারটেকার হিসেবে চাকুরী করছিল।

পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, আসামিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেছে। এছাড়া মোবাইল বিক্রির বিষয়েও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা নৃশংস এ ঘটনায় দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।