আবুল ফয়েজ, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
রামু উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের আয়োজনে “গনপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিদ্যামান দিক নির্দেশনা অনুসারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সকল প্রর্যায়ের কমিটিতে ৩৩% নারীদের সম্পৃক্ত করা হয় এবং এই শত সামনে পুরনের জন্য সংলিষ্ট নতুন আইন যেন নিদিষ্ট সময় সীমা বেধেঁ দেওয়া হয়।
আজ ০৫ নভেম্বর ২০২০ ইংরেজি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় রামু উপজেলা পরিষদ চত্বর সংলগ্ন সড়কে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়। মানববন্ধন কর্মসুচি পালন শেষে স্থানীয় প্রশাসন,রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি,নির্বাচন কমিশন ও প্রেসক্লাব কতৃপক্ষের কাছে স্বারক লিপি প্রদান করা হয়। উক্ত মানববন্ধন ও স্বারক লিপি প্রদান অনুষ্টানে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত মহিলা সদস্যগণ,নারী প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য ২০০৯ সালে সংশোধিত গনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ(আরপিও)-১৯৭২ অনুসারে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি সহ বিভিন্ন প্রর্যায়ের কমিটিতে ২০২০ সালের মধ্য ৩৩% নারী প্রতিনিধিত্ব থাকার কথা,এবং এই লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে অর্জিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আশানুরুপ অগ্রগতি অর্জিত হয়নি এবং নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দলসমুহের নিবন্ধন করা সংক্রান্ত আইন-২০২০ প্রনয়নে কাজ চলছে,যেখানে কমিটিসমুহে ৩৩% নারীর প্রতিনিধিত্ব বিধান রাখা হলেও এক্ষেত্রে নিদিষ্ট সময়সীমা বেধেঁ দেওয়া হয়নি।
উক্ত মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান অনুষ্টানে রামু উপজলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি আফসানা জেসমিন পপির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভিপিও রওশন আরা,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আছাদুজ্জামান লিয়ন উপজেলা সমন্নয়ন কারী। এছাড়া মুক্ত আলোচনার শুরুতে
কোরআন তেলাওয়াত করেন, আনজুম আরা বেগম, বক্তব্য রাখেন নয়ন রনি, সুলতানা রাজিয়া রুমি, লাকী আক্তার, রাজেদা খানম, অন্জনা শর্মা, নিলা চক্রবর্তী, রোজিনা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভাই বক্তরা বলেন, তারা কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যা সম্মুখীন হয়। বিশেষ করে তারা তাদের অধিকার সঠিক ভাবে পাচ্ছেন না,তাদের কর্মক্ষেত্র জেন্ডার সমতার পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি তারা উল্লেখ করে বলেন।
নারী প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে তারা আলোচনা করেন। তাছাড়া সম্প্রতি সময়ে উখিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে হেনেন্তা করেন হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহ আলম, তারা উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দ্রুত সময়ের চেয়ারম্যানের শাস্তি আবেদন জানান।