সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদকে নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় ওই ফাঁড়ির গ্রেফতার হওয়া কনস্টেবল হারুনুর রশীদের (বহিষ্কৃত) ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে দিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট তৃতীয় আদালতে তাকে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশনের (পিবিআই) ইন্সপেক্টর মুহিদুল ইসলাম। শুনানী শেষে আদালতের বিচারক শারমিন আক্তার নীলা ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে সমকালকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের জিআরও নেহার দাস।
শুক্রবার রাতে কনস্টেবল হারুনুর রশিদকে সিলেটের পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর আগে ২০ অক্টোবর একই মামলায় প্রথমবারের মত সাময়িক বহিষ্কৃত কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার দেখায় পিবিআই। টিটু চন্দ্র বর্তমানে ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। টিটুকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কাল-পরশুর মধ্যে হারুনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হবে বলে পিবিআই সূত্রে জানা গেছে।
পিবিআই সিলেটের এসপি খালেদুজ্জামান জানান, এ পর্যন্ত রায়হান হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে হারুনুর রশিদকে গ্রেফতারের পর তিনি পিবিআই এর হেফাজতে ছিলেন। বিকালে তাকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ১১ অক্টোবর রাতে রায়হানকে আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হলে ওইদিন ভোরে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় এসএমপি ৪ জনকে সাময়িক বহিস্কার করে। এরমধ্যে মূল অভিযুক্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর হোসেন ভূঁইয়া পালিয়ে যান। তাকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগে বুধবার ফাঁড়ির আরেক এসআই হাসানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ইতোমধ্যে নির্যাতন ও হত্যার সঙ্গে পুলিশ ফাঁড়ির কার কি ভূমিকা ছিল তা ১৬৪ ধারায় আদালতকে জানান কনস্টেবল দেলোয়ার, শামীম ও সাইদুর।