অনলাইন ডেস্কঃ
রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের গতি কিছুটা ধীর হয়ে পড়েছে। গত জানুয়ারির পর ফেব্রুয়ারি মাসেও কমল রেমিট্যান্স। এ মাসে এসেছে ১৭৮ কোটি ডলার। আগের মাস জানুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ১৯৬ কোটি ডলার। এই হিসেবে এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রায় ৯ শতাংশ কমেছে। তবে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় এই মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে সাড়ে ২২ শতাংশ। সব মিলে চলতি অর্থবছরের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রথম আট মাসে রেমিট্যান্স সাড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি।
২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরেও এই সুবিধা বহাল রাখা হয়েছে। এই প্রণোদনা দেওয়ার ফলে ২০১৯-২০ অর্থবছরের শুরু থেকে প্রতি মাসেই রেমিট্যান্স বাড়তে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, নগদ প্রণোদনার জাদুতেই রেমিট্যান্সের ঊর্ধ্বগতি ধারা বজায় রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এটি আগের মাস ডিসেম্বরের চেয়ে ৫.৬৬ শতাংশ কম। গত ডিসেম্বর মাসে ২০৫ কোটি ছয় লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এ ছাড়া গত নভেম্বরে রেমিট্যান্স আসে ২০৭ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। অক্টোবরে আসে ২১০ কোটি ২১ লাখ ডলার। জুলাইতে একক মাস হিসেবে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে। ওই মাসে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার। সব মিলে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৬৬৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার।