জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১২ লাখ মানুষকে আশ্রয়, খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে আতিথ্য করছে বাংলাদেশ। আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এটা বোঝা অপরিহার্য যে, এই সমস্যার ভার বাংলাদেশের কাঁধেই বর্তানো উচিত নয়। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক এবং টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করতে আরও বিলম্ব এবং মানবিক সহায়তার অভাব সমগ্র অঞ্চলকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
আস্থা ডেস্কঃ
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১২ লাখ মানুষকে আশ্রয়, খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে আতিথ্য করছে বাংলাদেশ। আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এটা বোঝা অপরিহার্য যে, এই সমস্যার ভার বাংলাদেশের কাঁধেই বর্তানো উচিত নয়। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক এবং টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করতে আরও বিলম্ব এবং মানবিক সহায়তার অভাব সমগ্র অঞ্চলকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য জরুরিভাবে কাজ করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) ‘সপ্তম অংশীদারিত্ব সভা/২৩’ উদ্বোধনকালে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এ আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, এই বছরের অংশীদারিত্ব সভাটি ইতিহাসের একটি অনন্য সন্ধিক্ষণ। কারণ, বিশ্ব এখন সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ হয়ে ওঠা সাম্প্রতিক করোনা মহামারি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। জলবায়ু পরিবর্তনকে বৈশ্বিক সংকট হিসেবে অভিহিত করে রাষ্ট্রপ্রধান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর প্রতিশ্রুতি মেনে চলার এবং বাংলাদেশের মতো দুর্বল দেশগুলোকে সহায়তার আহ্বান জানান।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান, বিডিআরসিএস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আব্দুল ওয়াহাব, আইএফআরসি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক পরিচালক আলেকজান্ডার ম্যাথিউ, রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান এগনেস ধুর ও বিডিআরসিএস মহাসচিব কাজী শফিকুল আজম প্রমূখ।
বিডিআরসিএস আশা, সমবেদনা এবং নিঃস্বার্থতার আলোকবর্তিকা হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, অগুণতি চ্যালেঞ্জের মুখে, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ১৯৭০ সালের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের পর এবং সাম্প্রতিক বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি প্রাদুর্ভাবের সময় এবং বিভিন্ন সময়ে স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে অমূল্য ভূমিকা পালন করেছে।