রোয়াংছড়িতে ৩০জন শিক্ষার্থীকে ৫বছরে ধরে ১জন শিক্ষকের পাঠদান
হ্লাছোহ্রী মারমা/রোয়াংছড়ি প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় ৪নং নোয়াপতং ইউনিয়নের দূর্গম পাহাড়ের মহিলা কারবারি পাড়া (আলেচু) বসবাসরত শিক্ষায় বঞ্চিত কোমলমতি ৩০ জন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আলো ছড়াতে স্বল্প সম্মানী টাকা পেয়ে ৫বছর ধরে প্রতিনিয়ত শিক্ষাদানের লক্ষ্যে পাঠদান করে আসছেন শিক্ষক উঞোয়াইমং মারমা।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী ২৪) মহিলা কারবারি পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অংশৈসিং মারমা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান চহাইমং মারমা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ৪নং নোয়াপতং ইউপি চেয়ারম্যান চনুমং মারমা, রোয়াংছড়ি প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক সাথোয়াইঅং মারমা, দৈনিক দেশ বাংলা প্রতিনিধি হ্লাছোহ্রী মারমা, সাবেক ইউপি মেম্বার ও মহিলা পাড়া কারবারী হ্লাথোয়াই মারমা, সাবেক ইউপি মেম্বার ও খক্ষ্যং হেডম্যান পাড়া কারবারী মংচিংথুই মারমা, সমাজ সেবক নুমংপ্রু মারমা,সংরক্ষিত ইউপি মহিলা মেম্বার মেনুপ্রু মারমা, উমেনু মারমা, হ্লামেচিং মারমা, মেম্বার ক্যনুপ্রু মারমা, মেম্বার মেচিং মারমা, মেম্বার শৈউচিং মারমা, মেম্বার জামাধন তঞ্চঙ্গ্যা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি চহাইমং মারমা বলেন, স্বল্প পরিমাণের সম্মানী প্রদানের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বঞ্চিত হতে দূর করণে লক্ষ্যে দূর্গম এলাকার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক থলি পাড়া বাসিন্দা উঞোয়াইমং মারমাকে ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সামর্থন অনুযায়ী প্রতিমাসে একজন শিক্ষককে সম্মানী প্রদান করে চলেছে। পাঠদানের শিক্ষা ভবন সরকার করে দিয়েছে কিন্তু কোন সরকারি ভাবে শিক্ষক দেয়নি।
আরো জানা যায় আগে এ স্কুলটি এনজিও পরিচালিত ছিলো কোন জাতীয়করণের অন্তর্ভুক্ত হয় নাই। আগে ইউএনডিপি জেলা পরিষদের আওতায় অনেক স্কুল হলেও এ স্কুলটি থেকে যায়। ৪নং নোয়াপতং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মহিলা কারবারি পাড়া (আলেচু) প্রায় ৫০-৬০ পরিবারের শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। পাড়াবাসি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পরিচালনা করে আসছিলেন।
থলি পাড়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি নুমংপ্রু মারমা বলেন, বেসরকারি সংস্থা গ্রাউস, তৈমু, কারিতাস আওতায় ছিলো কিন্তু প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়াতে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায় কোমলমতি শিশুরাও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। পরে ২০১৭ থেকে কমিউনিটি থেকে টাকা তুলে পরিচালনা করে আসছেন। জেলা পরিষদের আবেদন দিলেও বিদ্যালয়ের অবকাঠামো করে দিয়েছেন এখন পযর্ন্ত কোন সরকারি শিক্ষক দেয়নি। কোন স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট নাই। দ্রুত সরকারি হওয়ার জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এসময় অনুষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অর্ধশতাধিক অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।